মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহার হিসেবে পাকা বাড়ি পাচ্ছে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার ৪১০টি গৃহহীন পরিবার। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ এই উপহার পেয়ে খুশি ভূমিহীন পরিবারগুলো।
সরেজমিনে দেখা যায়, খানসামা উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের গৃহহীনদের জন্য নির্মিত বাড়ির কাজ চলছে। কোথাও বা কাজ শেষের দিকে।
আলোকঝাড়ি ইউনিয়নের পূর্ব বাসুলী গ্রামের ভূমিহীন গেন বালা বৈশ্য (৪৮) পাটখড়ি ও বাঁশের বেড়া এবং জরাজীর্ণ টিনের চালা একটি বাড়ির সামনে বসে রোদ পোহাচ্ছেন।
তার সাথে কথা হলে তিনি জানান, বিয়ের কয়েক বছর পর স্বামী মারা যায়। কোনো সন্তানাদি না থাকায় অন্যের বাড়িতে কাজ করে কুঁড়েঘরে জীবনযাপন করেন। প্রধানমন্ত্রীর দেয়া পাকা বাড়ি ও দুই শতক জমির খবরে যেন খুশির শেষ নেই তার।
খুশিতে কান্নায় জর্জরিত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘বাড়ি পেয়া মুই খুবই খুশি হইছু। মুই স্বপনেও ভাবো নাই কোনোদিন ইটের বাড়ি পাইম। প্রধানমন্ত্রীকে আশীর্বাদ করেছো।’
একই এলাকার ৭৪ বছর বয়সী জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, ‘মুই বুড়া (পুরাতন) টিন আর সিনডার (পাটখড়ি) চাটি (বেড়া) দিয়া ঝুপড়ি ঘর করি আছো। বাইরোত ভাত আন্দি (রান্না) খাও। মুই মেলা কষ্ট করি জীবন চালাছো। কয়দিন আগত ইউএনও মোর বাড়িত আসি ছবি তুলি নিছে আর কয়া গেইছে মোক নাকি শেখের বেটি বাড়ি দেছে। যাক ভগবান শেখের বেটির ভাল করুক।’
শুধু গেন বালা বৈশ্য ও জীতেন্দ্রনাথ নয়, তার মতো খানসামা উপজেলার ৪১০টি দরিদ্র গৃহহীন পরিবার মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহার হিসেবে পাচ্ছেন পাকা বাড়ি। এতে উচ্ছ্বাসিত তারা।
খানসামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহমেদ মাহবুব-উল-ইসলাম জানান, ‘বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’-প্রধানমন্ত্রীর এই প্রতিশ্রুতিকে সামনে রেখে সরকারের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রকৃত ভূমিহীন ও গৃহহীনদের পাকা গৃহ নির্মাণের এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সময়মতো কাজ শেষ করার পাশাপাশি নির্মাণ কাজের গুণগত মান ঠিক রাখতে নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই