এক বছরেও ধরা পড়েনি কুমিল্লা নগরীর বিষ্ণুপুর এলাকার বাসিন্দা ডা. লিয়াকত আলীর ছেলে শাবাত খানের খুনিরা। ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর রাতে বাসা থেকে বের হন শাবাত খান। এরপর থেকে আর খোঁজ মেলেনি তাঁর। ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি প্রতিবেশীদের মাধ্যমে জানতে পারেন তার লাশ গোমতী নদীতে ভাসছে। ২ জানুয়ারি বাবা ডা.লিয়াকত আলী খান বাদী হয়ে ১০ জনের নামোল্লেখ করে কোতয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেন।
এ সময় তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন কোতয়ালী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক শাহীন কাদির। তবে কোতয়ালী থানায় মামলা দায়ের করার ১০ দিন পর মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) হস্তান্তর করা হয়। বর্তমানে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হচ্ছেন কুমিল্লা পিবিআইর পরিদর্শক মতিউর রহমান।
ছেলে হারিয়ে গত এক বছর ধরে পাগল প্রায় শাবাতের মা কুমিল্লা মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ রাফিয়া আক্তার ডেইজি। তিনি বলেন, গত এক বছর যাবত আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দিকে তাকিয়ে আছি।
বাবা ডা. লিয়াকত আলী বলেন, গত ২০২০ সালের ১২ মার্চ শাবাত খানের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসে। যেখানে উল্লেখ রয়েছে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। আমরা পুলিশকে সম্ভাব্য সব রকম তথ্য উপাত্ত দিয়েছি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক মো. মতিউর রহমান বলেন, তদন্ত চলছে। আমরা এখনো নির্ভরযোগ্য ক্লু পাইনি। যার কারণে রহস্য উদঘাটনে দেরি হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার