বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচন নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ধুম্রজাল। নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে সম্প্রতি রেজিষ্ট্রাড অব ট্রেড ইউনিয়ন খুলনার একটি চিঠি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে কমিটির মেয়াদকালের স্থায়িত্বকাল নিয়ে।
দেশের তৃতীয় বৃহত্তম বন্দর বেনাপোলে সংগঠনের সর্বশেষ নির্বাচন হয় ২০১৪ সালের মার্চ মাসে। তিন বছর মেয়াদি সংগঠনটির মেয়াদ ১৭ সালে উর্ত্তীন হবার কথা থাকলেও নানা কারণ দেখিয়ে নির্বাচনের কাযক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। কোন কারণ ছাড়াই নির্বাচন বন্ধ রাখায় ফুঁসে উঠেছে সদস্যরা।
এদিকে খুলনা ট্রেড ইউনিয়নের একটি চিঠি নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে তোলপাড়। গত ২৬ নভেম্বর শ্রম মন্ত্রণালয় আওতাধীন রেজিষ্ট্রাড অব ট্রেড ইউনিয়ন খুলনা দপ্তর থেকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয় ১২ মার্চ ২০ সালে এ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ায় ৪৫ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানটা শেষ করতে হবে। ইউনিয়নের দেয়া এই চিঠির কারণে এ্যাসোসিয়েশন ভুক্ত সদস্যারা নড়েচড়ে বসেছে। তাদের বক্তব্য ২০১৪ সালের মার্চ মাসে নির্বাচন হলে তিন বছর মেয়াদি কমিটির মেয়াদ ১৭ সালে শেষ হবার কথা। প্রশ্ন উঠেছে ১৭ সাল থেকে ২০ সাল মেয়াদে কোন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি তাহলে এই সময়ে নির্বাচন কমিশন কি ভুতুড়ে কোন কমিটি করে ট্রেড ইউনিয়নে দাখিল করেছিলেন?
এ ব্যাপারে বেনাপোল এ্যাসোসিয়েশনের সদস্য হায়দার আলী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নির্বাচন নিয়ে তালবাহানা করা দুঃখজনক। করোনার দোহায় দিয়ে একটি মহল দীর্ঘদিন নির্বাচন আটকে রেখেছে। সুষ্ঠুভাবে সংগঠনের কার্যক্রম চালাতে হলে অবিলম্বে নির্বাচন দিতে হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল