কৃষি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে। বর্তমান করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও আমাদের বাইরে থেকে খাদ্য আমদানি করতে হয়নি। যা কৃষিতে আমাদের সক্ষমতাকে প্রকাশ করে। আর এক্ষেত্রে আমাদের কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানসমূহ এবং কৃষি বিজ্ঞানীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। দেশের চাহিদা মিটিয়ে কৃষিপণ্য রপ্তানিতে বাংলাদেশ শীঘ্রই স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন শনিবার বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) পরিদর্শনের এসে এ কথা বলেছেন।
তিনি সকালে গাজীপুরস্থ বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে এসে পৌঁছালে বারির মহাপরিচালক ড. মো. নাজিরুল ইসলাম, পরিচালকবৃন্দ এবং বিভাগীয় প্রধানগণ তাকে স্বাগত জানান। এরপর মহাপরিচালকের সভাকক্ষে বারির মহাপরিচালক ড. মো. নাজিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ইনস্টিটিউটের সার্বিক কার্যক্রম তুলে ধরতে একটি সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে মাল্টিমিডিয়া প্রদর্শনের মাধ্যমে ইনস্টিটিউটের বিভিন্ন কার্যক্রম, অগ্রগতি ও সাফল্য তুলে ধরেন কৃষিতত্ত¡ বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. দিলোয়ার আহমদ চৌধুরী।
তিনি বারির আইপিএম ও টক্সিকোলজি ল্যাব, কফি ও কাজুবাদাম প্রসেসিং ল্যাব, অ্যারোফনিক্স ও হাইড্রোফনিক্স গবেষণাগার, ফুল বিভাগের ফুলের মাঠ ও ক্যাকটাস হাউস পরিদর্শন করেন। এ সময় পররাষ্ট্র সচিব ইনস্টিটিউটের সার্বিক কার্যক্রম, অগ্রগতি ও সাফল্য দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
এ সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সার্ক ও বিমসটেক উইং এর অতিরিক্ত সচিব মো. শামসুল হক, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, ফরেন সার্ভিস একাডেমির মহাপরিচালক শাহ আহমেদ শফি, এনডিসি, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর, বারির পরিচালক (গবেষণা) ড. মো. মিয়ারুদ্দীন, পরিচালক (সেবা ও সরবরাহ) ড. এসএম শরিফুজ্জামান, পরিচালক (পরিকল্পনা ও মূল্যায়ন) ড. মো. কামরুল হাসান, পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও যোগাযোগ) ড. মুহাম্মদ সামসুল আলম, পরিচালক (কন্দাল ফসল গবেষণা কেন্দ্র) ড. কবিতা আনজু-মান-আরাসহ বিভিন্ন বিভাগের বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন