১৫ জানুয়ারি, ২০২১ ১৬:৩৭

নওগাঁয় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা, জনজীবন বিপর্যস্ত

নওগাঁ প্রতিনিধি:

নওগাঁয় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা, জনজীবন বিপর্যস্ত

ঘন কুয়াশার সঙ্গে উত্তরের হিমেল বাতাসে মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। কয়েক দিন ধরে কিছুক্ষণের জন্য রোদের দেখা মিললেও হিমেল বাতাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উত্তাপ ছড়াতে পারছে না সূর্য। এ কারণে দিনভর শীতে জবুথবু থাকতে হচ্ছে। গত দুই দিন নওগাঁয় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছিল। 

৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা নওগাঁর ইতিহাসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এর আগে গত বুধবার নওগাঁয় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দ্বিতীয় দফায় নওগাঁর উপর দিয়ে মৃদ শৈতপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এতে করে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। 

কনকনে শীতে সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। শীতবস্ত্রের অভাবে নিম্ন আয়ের মানুষ কষ্ট পোহাচ্ছে। শীতের কারণে সন্ধ্যা হতে না হতেই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে জনমুখর স্থানগুলো। দিনের বেলায় নিরুত্তাপ সূর্যের দেখা মিললেও বিকেল থেকে তাপমাত্রা কমতে শুরু করে। উত্তরের হিমেল হাওয়া আর কনকনে শীতের খেটে-খাওয়া বিশেষ করে দিনমজুর, ভবঘুরে, গরীব, অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষরা চরম বেকায়দায় পড়েছে। অপরদিকে প্রচন্ড শীতে শীতজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা। জেলার প্রতিটি হাসপাতালে রুগী ভর্তি থাকলেও জেলার কোথাও এখন পর্যন্ত শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে কোন শিশু বা বৃদ্ধের মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া যায়নি।

নওগাঁ শহরের অটোভ্যান চালক আল আমিন ও বলবান বলেন, 'ঠান্ডার চোটত হাত-পা ক্যান-ক্যান করিচ্ছে। জীবন শেষ হলো কি করমু। বাচ্চাগুলা কি খাবে। মনে হচ্ছে হাত-পার রগ জড়ে যাচ্ছে। ঠান্ডার জন্য হাত দিয়ে হ্যান্ডেল ঠিক মতোন ধরতে পারিচ্ছি না। ইকশা চালানাই কঠিন হয়ে পড়ছে। এভাবে চললে কি আর হবে।'

নওগাঁর বদলগাছি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা ফেরদৌস মাহমুদ বলেন, আজ শুক্রবার সকালে নওগাঁয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশে ২ ডিগ্রি থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা হলে অতি শৈত্যপ্রবাহ হয়। ৪ ডিগ্রি থেকে ৬ ডিগ্রি তাপমাত্রা থাকলে বলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। ৬ ডিগ্রি থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা হলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ হয়। ৮ ডিগ্রি থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা থাকলে বলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। 

সবচেয়ে শীতলতম মাস জানুয়ারির প্রায় মাঝামাঝি এসে এই মাঝারী ধরনের শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে গত মঙ্গলবার থেকে। এই শৈত্যপ্রবাহ আরো ২/৩ দিন থাকতে পারে। তবে জেলায় কোন বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই।

বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর