১৯ জানুয়ারি, ২০২১ ২১:০৩

শীতে বিপর্যস্ত লালমনিরহাটের জনজীবন

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

শীতে বিপর্যস্ত লালমনিরহাটের জনজীবন

কয়েক দিনের টানা মৃদু শৈত্যপ্রবাহ আর ঘুন কুয়াশায় লালমনিহাটের ৫ উপজেলায় জনজীবন বিপর্ষস্ত হয়ে পড়েছে। মাঘ মাসের শুরু থেকেই শীতের তীব্রতা বাড়ছে। এই হাড় কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে জনজীবন। বিশেষ করে তিস্তা তীরবর্তী এলাকার সাধারণ মানুষের ভোগান্তি চরমে উঠেছে।

মঙ্গলবার সকাল থেকে ঘনকুয়াশা আর শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করেছে। সাধারণ মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারছে না। তিস্তাপারের শিশু-বৃদ্ধ সকলেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। বেলা ১১টা পরও সূর্যের মুখ দেখা যায়নি।

আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ৯টায় লালমনিরহাটের তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস।

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার সাধুর বাজার, নিজ গড্ডিমারী, তালেবমোড়, দোয়ানী, ছয়আনী এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, ওই এলাকার খেটে খাওয়া মানুষ কাজকর্ম না পেয়ে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। গত ৪ দিনের টানা শৈত্য প্রবাহে তিস্তা পারের হতদরিদ্র মানুষের ভোগান্তি চরমে উঠেছে। লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়কে বাস-ট্রাকগুলো হেড লাইট জালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।

লালমনিরহাটের সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে ১৩টি নদ-নদী তীরবর্তী ৬৩টি চরের প্রায় অর্ধলাখের অধিক মানুষসহ নিম্ন আয়ের শ্রমজীবীরা। শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন শিশু ও বয়স্করা। হাপানি, অ্যাজমা, নিউমোনিয়া, হৃদরোগসহ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। গোবাদিপশুও রেহাই পাচ্ছে না শীতের প্রকোপ থেকে।

কালীগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প অফিসার (পিআইও) ফেরদৌস আহম্মেদ জানান, এ পর্যন্ত হতদরিদ্র ও দুস্থ পরিবারের জন্য জেলা থেকে বরাদ্দকৃত ৫ হাজার ৬ শত ৪০ পিচ কম্বল ও হাতীবান্ধা উপজেলার জন্য প্রায় ৮ হাজার পিচ কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।

লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক আবু জাফর জানান, জেলার ৫টি উপজেলায় শীতার্ত মানুষের জন্য সরকারি ও বেসরকারিভাবে প্রায় ৫০ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। শীতবস্ত্রের চাহিদা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর