বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুই যুবকসহ ৩০ বস্তা ভেজাল সার ও সার তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে। পুলিশ বলছে, নকল সারের কারবারিরা, মাটি ও ইটের খোয়ার সঙ্গে রং ও বিভিন্ন কিছু পদার্থ মিশিয়ে নকল সার তৈরি করে বাজারে বিক্রি করছিল। চলতি বোরো মৌসুমকে ঘিরে এক শ্রেণির অসাধু চক্র কৃষকদের ঠকিয়ে প্রতারণা করে অর্থলুটিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা হিসেবে সার তৈর করে আসছিল।
বুধবার মধ্যরাতে পুলিশি অভিযানে আটককৃতরা হল শেরপুর উপজেলার মহিপুর কলোনি গ্রামের হাবিবর রহমানের ছেলে জাহিদ হোসেন (৪০) ও একই গ্রামের আব্দুস সামাদ ফকিরে ছেলে আল আমিন হোসেন (৩৬)।
বগুড়ার শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এসএম আবুল কালাম আজাদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই ভেজাল সার ও কীটনাশক তৈরির কারখানায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় এই কর্মকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে বাড়ির মালিক ও বাজারজাত করায় দুইজনকে আটক করা হয়েছে। কিন্তু এই ভেজাল কারবারির মূল কারিগর পালিয়ে যাওয়ায় তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে তাকে ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।অভিযানকালে ত্রিশ বস্তা ভেজাল সার, পঞ্চাশ কেজি রং, পনেরটি কোম্পানির প্যাকেটের নকল লেভেল, স্প্রে মেশিন, মাটি ও ইটের খোয়ার বস্তা জব্দ করা হয়েছে। পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, মাটি ও ইটের খোয়ার সঙ্গে মিশিয়ে সার তৈরি করে কৃষকদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। এগুলো ব্যবহার করে ফসলের উপকারের পরিবর্তে ক্ষতি হবে। থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন