জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান এএসএম আলী কবীর বলেছেন, যে সকল শিল্প প্রতিষ্ঠান তাদের কল-কারখানার দূষিত পানি নদীতে ফেলবে তাদের পানির পাইপে জিও ব্যাগ দিয়ে বন্ধ করে দিতে হবে। যাতে ফেলানো পানি তাদের কারখানাতেই ফিরে যায়। নদী দূষণ ও নদী দখল উভয়ই সমান অপরাধ। নদীর পানিকে সুপেয় পানির আধার হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। নদী দূষণ রোধ করতে ক্যাম্পেইন করতে হবে। চালাতে হবে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা। নদী তীরবর্তী লোকসহ সকলকে নদী দূষণ সম্পর্কে অবগত করতে হবে।
তিনি মঙ্গলবার দুপুরে শহরের শহীদ বঙ্গতাজ অডিটরিয়ামে গাজীপুরে নদী সমীক্ষা বিষয়ক জেলা কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ৪৮ নদী সমীক্ষা প্রকল্প, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন ও জেলা নদী রক্ষা কমিটি গাজীপুর জেলা কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য কামরুন নাহার আহমেদ, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সাবেক সার্বক্ষনিক সদস্য মো: আলাউদ্দিন, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের ৪৮ নদী সমীক্ষা প্রকল্পের ভারপ্রাপ্ত টিম লিডার সৈয়দ মো: মতলুবুর রহমান, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বরতক উল্লাহ খান, ৪৮ নদী সমীক্ষা প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ইকরামুল হক, গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ মশিউর রহমান, জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি প্রফেসর এম এ বারী, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মুকুল কুমার মল্লিক, বাংলাদেশ নদী পরিব্রাজক দলের সভাপতি মুহাম্মদ মনির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো: হাবিবুর রহমান, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের ৪৮ নদী সমীক্ষা প্রকল্পের এনভায়রনমেন্ট টিম লিডার মো. মনির হোসেন চৌধুরী প্রমুখ।
জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, নিজেদের নদী নিজেদের পানিকে নষ্ট করা এটি একটি আত্মহত্যার শামিল। গাজীপুরের বন-নদী নষ্ট হয়ে যাওয়া রাজধানী ঢাকার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গাজীপুর জেলা প্রশাসনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ নদী পরিব্রাজক দল গাজীপুর শাখার সার্বিক সহযোগিতায় অনুষ্ঠানে শিক্ষাবিদ, পরিবেশবিদসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার