বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার কুন্দগ্রাম ইউনিয়নের কড়ই গ্রামের কৃষক চাঁন মিয়া ড্রাগন ফল চাষ করে ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছেন। তার সফলতাই এখন অনেক কৃষকই ড্রাগন ফল চাষে আগ্রহী হয়ে পড়েছে। ২০১৭ সালে অনলাইনের মাধ্যমে ড্রাগন ফল চাষ দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে তিনি নাটোর জেলা থেকে ড্রাগন ফলের চারা সংগ্রহ করে বাড়ির পার্শ্বে মাত্র ১০ শতক জমিতে ড্রাগন ফল চাষ করে ১ লাখ টাকা আয় করে এলাকায় ব্যাপক সারা জাগিয়েছেন। উপজেলার কড়ই গ্রামের আহম্মদ আলীর ছেলে কৃষক চাঁন মিয়া ইতিমধ্যে প্রতিবেশি কারিউল ইসলাম নামের এক কৃষকের সাথে যৌথভাবে ১৫ বিঘা জমিতে ড্রাগন ফল চাষ শুরু করেছেন।
ড্রাগন ফলের বাগান ঘুরে দেখা গেছে, ৫ ফুট উচ্চতার খুঁটিতে পেঁচিয়ে উঠেছে ড্রাগন ফলের গাছ গুলো। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন এসে এসব ড্রাগন ফলের চাষপদ্ধতি জেনে নিচ্ছেন কৃষক চাঁন মিয়ার নিকট থেকে। আগতদের মধ্যে যারা শখের বসে ড্রাগন চাষ করতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন তাদের মাঝে তিনি চারা সরবরাহ করছেন।
কৃষক চাঁন মিয়া জানান, ড্রাগন গাছের রোগ-বালাই কম, কীটনাশকের প্রয়োজন হয় না। ফলে ড্রাগন চাষে ঝুঁকি কম, ফলের দামও বেশি দেখে এলাকার অনেক কৃষকই উৎসাহিত হচ্ছেন। তিনি আরোও জানান, এনজিও সংস্থা কিংবা কৃষি ব্যাংক কর্তৃক ড্রাগন চাষের জন্য আমাদের সহজ শর্তে যদি ঋণের ব্যবস্থা করে তাহলে এলাকার কৃষকদের ড্রাগন চাষে আরো আগ্রহ বাড়বে।বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মিঠু চন্দ্র অধিকারী জানান, ড্রাগন ফলের গুণাগুন ব্যাপক পুষ্টি সমৃদ্ধ। ফলটি হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এই ফল ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। তিনি আরোও জানান, ড্রাগন গাছে ফুল আসার ২০-২৫ দিনের মধ্যে ফল ধরে। প্রতিটি ফলের ওজন প্রায় ২০০ থেকে ৬০০ গ্রাম হয়ে থাকে।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন