মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সোমবার (৮ মার্চ) রাত ৩টা থেকে প্রচন্ড ঝড় ও শীলবৃষ্টি শুরু হয়।
এই শিলাবৃষ্টিতে সাতগাত্তঁ ইউনিয়নে গান্ধীছড়া চা বাগানে দুই শ্রমিক পরিবারের বসতঘর ভেঙ্গে যায়। ঘরে থাকা দুই সদস্য আহত হন। উপজেলার নয়টি ইউনিয়নে ফসলের মাঠে বিভিন্ন জাতের সবজি নষ্ট হয়ে যায়। ভেঙ্গে পরে কলা গাছসহ বিভিন্ন গাছ।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া সহকারি জাহেদুল ইসলাম মাসুম জানান, 'গত রাতে ৩টা পাঁচ থেকে এক টানা ভোর সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে। সাথে ছিল দমকা হাওয়া। এ সময় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯ মিটার।'
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আছাদুজ্জামান জানান, 'গান্ধীছড়া বাগানের ঝড়ে ঘর পরে আহত দুইজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া উপজেলা প্রশাসন থেকে ওই দুই পরিবারকে আর্থিক সহায়তা করা হয়েছে।'
উপজেলা কৃষি অফিস থেকে জানা যায়, 'ঝড়ে এ উপজেলার ৭ হেক্টর জমিতে করা সূর্য্যমুখীর ৩০ শতাংশ নষ্ট হয়ে গেছে। ৫ হেক্টর জমিতে চাষ করা ভুট্টার ২৫ শতাংশ নষ্ট হয়ে গেছে। একই ভাবে ৩০ হেক্টর জমিতে ফলানো সবজির মধ্য ৫০ শতাংশই কৃষকরা ঘরে তুলতে পারবেন না। এর মধ্যে রয়েছে শসা, মিষ্টিকুমড়া, বরবটি, পুইশাক ও ধনিয়াপাতা। তাছাড়া উপজেলার ৩০ হেক্টর পরিমাণ উঁচুজমিতে রোপনকৃত বোরো ধানের ১০ শতাংশ ক্ষতি হয়েছে।'
সদর ইউনয়নের চেয়ারম্যান ভানুলাল রায় জানান, 'ঝড়ে দিলবনগড় এলাকায় স্থানীয় সংসদ সদস্য আব্দুস শহীদের বাগানের ৫০০ কলা গাছ ও লেবু গাছ নষ্ট হয়ে গেছে। তাছাড়া হাওরে বোরো ধানের ক্ষতি হয়েছে।'
শ্রীমঙ্গল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফার ইয়াসমিন মোনালিসা সুইটি বলেন, ‘বোরো ধানের ক্ষতি ঠিক হয়ে যাবে। সবজি, সূর্য্যমুখী ও ভুট্টা চাষিদের ক্ষতি প্রত্যক্ষ করতে আমরা সরেজমিনে মাঠ পরিদর্শন করেছি। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের তালিকা করে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে পাঠাবো।’
বিডি প্রতিদিন / অন্তরা কবির