বাগেরহাটের রামপাল উপজেলায় তীব্র লবণাক্ততার মধ্যেও বেড়ে চলেছে বোরো ধানের আবাদ। লবনসহিষ্ণু জাত, উন্নত বীজ, কৃষকদের প্রশিক্ষণ, সঠিক বীজ নির্বাচন ও সেচ ব্যবস্থা সহজ হওয়ার ফলে এ উপজেলায় আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে।
তীব্র লবণাক্ততা জমিতে বাগদা চিংড়ি উৎপাদেনে রামপালে এবার ৪ হাজার ৩৩৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। যা ইতিবাচক হিসেবে দেখছে কৃষি বিভাগ।
উজলকুড় ইউনিয়নের ভরসাপুর আইপিএম ক্লাবের সভাপতি আনসার আলীসহ অনেকেই বলেন, 'রামপাল উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে এবার তীব্র লবণাক্ততার মধ্যেও সার্বিকভাবে বোরো আবাদ ভালো হয়েছে, পোকামাকড় দেখা যায়নি কিন্তু ইঁদুরের উপদ্রব রয়েছে। ইদুর ধানের গাছ কেটে দিচ্ছে। এতে বেশ ক্ষতি হচ্ছে। ইদুর দমন করা গেলে এবার কৃষকারা ভালো ফলন পাবেন।'
রামপাল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষ্ণা রানী মন্ডল বলেন, 'এবছর রামপাল উপজেলার ১০টির মধ্যে ৯টি ইউনিয়নে মোট বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ৪ হাজার ৫৫ হেক্টর থাকলেও তা বৃদ্ধি পেয়ে আবাদ হয়েছে ৪ হাজার ৩৩৫ হেক্টর জমিতে।'
গৌরম্ভা, উজলকুড়, বাইনতলা, রামপাল সদর, রাজনগর, হুড়কা, পেড়িখালী, মল্লিকেরবেড় ও বাঁশতলী ইউনিয়নে তীব্র লবণাক্ত জমিতে হাইব্রিড ও উফশী জাতের বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। আমন মৌসুমে বাম্পার ফলনের কারণে কৃষক উদ্বুদ্ধ হয়েছে তাই বোরোর আবাদ বেড়েছে।
নতুন করে বাঁশতলী ও মল্লিকেরবেড় ইউনিয়নে আবাদ সম্প্রসারণ করা হয়েছে। প্রণোদনা পুনর্বাসনের মাধ্যমে ১ হাজার ৩৭০ জন্য কৃষককে বিনামূল্যে বীজ ও সার সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে ১ হাজার কৃষককে হাইব্রিড এসএলএইটএইচ ধানের বীজ দেওয়া হয়েছে।
কৃষি বিভাগের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের উৎসাহিত করেছেন। লবণসহিষ্ণু জাতের ধান ব্রি-৬৭ ও বিনার ১০ জাত ধানের সরবরাহের বৃদ্ধি, উর্বর সার, বীজ সঠিক সময়ে সরবরাহ, ন্যায্য মূল্য ও কৃষি যান্ত্রিকিকরণের ফলে আবাদ বেড়েছে।
গত ২০২০ অর্থ বছরে বোরো ধানের আবাদ হয়েছিল ৪ হাজার ৭৫ হেক্টর জমিতে। ২০২১ সালে তা বেড়ে দাড়িয়েছে ৪ হাজার ৩৩৫ হেক্টর যা গত বছরের চেয়ে ২৭৫ হেক্টর বেশি।
বিডি প্রতিদিন / অন্তরা কবির