ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন সাদেকের বিরুদ্ধে এক প্রধান শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত উপজেলার ফতেহপুর আরএনটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আল-আমীন খান ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
শিক্ষককে মারধরের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকে ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দোষী ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের দাবি তুলেছেন। তবে সন্ধ্যায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা দায়ের হয় নি।
প্রধান শিক্ষক আল-আমীন খান জানান, মঙ্গলবার বেলা আড়াইটার দিকে উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের ভেতরে তিনি মারধরের শিকার হন। স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির নাম দেরিতে জমা দেয়ার অভিযোগ এনে ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক তাকে চড়-থাপ্পড় মারাসহ লাঞ্ছিত করেন।
তিনি জানান, কমিটির মধ্যে ভাইস চেয়ারম্যান সাদেকের নামও রয়েছে।
আল-আমীন খান বলেন, ‘অনেক মানুষের সামনেই আমাকে মারধর করা হয়। ইউএনও স্যার আমাকে রক্ষা করেছেন। আমি ছাত্রীদেরকে কিভাবে মুখ দেখাবো। আমার বোধহয় এখন আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।’
স্কুল পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি মো. জাকির আহম্মেদ শিক্ষকের উপর হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘হামলাকারীকে দ্রুত গ্রেপ্তার করা হোক। পাশাপাশি শিক্ষকদের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করতে হবে।’
তবে ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘ম্যানেজিং কমিটির নাম জমা দিতে দেরি করায় ছাত্রলীগের কিছু কর্মী প্রধান শিক্ষকের উপর চড়াও হয়। আমি বিষয়টি জানতে পেরে ওই শিক্ষককে রক্ষা করেছি।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ দৌঁলা খাঁন বলেন, ‘শিক্ষকের উপর মারধরের কোনো ঘটনা শুনেন নি।’ তবে খোঁজ নিয়ে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি আশ্বাস প্রদান করেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার