করোনা প্রভাবে খাদ্য শস্যের সংকট মোকাবেলায় রংপুর অঞ্চলের কৃষকরা সংগ্রামে নেমেছে। বর্তমানে বোরো ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন এই অঞ্চলের কৃষকরা। আউশ বপনও শুরু করেছে পুরোদমে। কৃষকরা যাতে করোনা মোকাবেলা করে ফসল ঘরে তুলতে পারে এজন্য কৃষি বিভাগ সার্বক্ষনিক মনিটরিং করছেন। তারা কৃষকদের নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করার পরামর্শ দেয়ার পাশাপাশি কৃষকদের প্রণোদনা দিচ্ছেন।
রংপুর কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, রংপুর অঞ্চলে এবার বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি আবাদ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ৪৯ হাজার ৫১৫ হেক্টর জমিতে। সেখানে আবাদ হয়েছে ৫ লাখ ৩ হাজার ৫১৭ হেক্টর জমিতে। বর্তমানে বোরো ধানের বয়স হয়েছে ৬০ থেকে ৬৫ দিন। আর একমাস পরেই কৃষক এধান গোলায় তুলবে। তাই করোনা ভয়ে ভীত না হয়ে তারা মাঠে কাজ করছেন। আবহাওয়া অনূকূলে থাকলে এবার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।
অপরদিকে এবার এ অঞ্চলে আউশ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬২ হাজার ১৯৯ হেক্টর।
রংপুর সদরের কৃষক গৌরাঙ্গ মহন্ত, কাউনিয়ার রফিকুল ইসলাম,আফজাল হোসেন, মিঠাপুকুরের আশরাফুল ইসলামসহ অনেকেই জানালেন, করোনার প্রভাবে দেশে যাতে খাদ্য ঘাটতি না হয় এজন্য তারা ফসলের প্রতি বিশেষ নজর দিচ্ছেন। সরকার ঘোষিত সামাজিক দূরুত্ব বজায় রেখে ক্ষেতের কাজ করার চেষ্টা করছেন এবং নিয়মিত ক্ষেত পরির্চযা ও সেচ দিচ্ছেন।
কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তর খামার বাড়ি ঢাকার অতিরিক্ত উপ পরিচালক আবু সায়েম জানান, কৃষি বিভাগের লোকজন সার্বক্ষনিক মাঠে কাজ করছেন। আমরা প্রতিদিন মাঠ পর্যায়ে কৃষি বিভাগের যারা কাজ করছেন তাদের সাথে যোগাযোগ রাখছি।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল