১৬ এপ্রিল, ২০২১ ১৯:২৩

মাদকসেবীর ভিডিও প্রকাশ নিয়ে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ

ঝালকাঠি প্রতিনিধি:

মাদকসেবীর ভিডিও প্রকাশ নিয়ে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ

আহত পরীক্ষার্থী ও তার মা (ডানে)

ঝালকাঠি শহরের বিকনা এলাকার কিছু মাদকসেবীর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগে কাজল নামে এক এসএসসি শিক্ষার্থীকে মারধর করে পা ভেঙে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত ১০ এপ্রিল রাত সাড়ে ১০ টার দিকে হামলাকারিরা শিক্ষার্থীর বাড়িতে হামলা ভাংচুর করে। এসময় লোহার পাইপ দিয়ে পিটিয়ে শিক্ষাথীর পা ও হাত ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে বলে সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে গত ১৩ এপ্রিল থানায় এ অভিযোগ দেন। আজ বিকেল ৩.৪০ মিনিটে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অভিযোগটি এজাহার হিসাবে গ্রহণ করা হয়নি। 

অভিযোগে বাদী শিক্ষার্থীর মা মেহেরীন বেগম উল্লেখ করেন, কে বা কারা কৃষ্ণকাঠি ও বিকনা এলাকার মাদকসেবী আসামী তৌহিদুল, মুরাদ, জুম্মান, মারুফ ও রাকিবের মাদক সেবনের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করে। এ ঘটনায় সন্দেহ করে আসামিরা স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর ও জেলা যুবলীগের আহবায়ক রেজাউল করিম জাকিরের কাছে আমার ছেলের নামে অভিযোগ দেয়। অভিযোগ পেয়ে জাকির কাউন্সিলর আসামিদের নিয়ে ১০ এপ্রিল রাতে আমার বাড়িতে অস্ত্র, লোহার পাইপ নিয়ে হামলা ভাংচুর করে। তারা আমার ছেলের দুপায়ের গোড়ালির নীচে পিটিয়ে এবং বা হাতের কব্জির হাড় ভেঙ্গে জখম করে। ঘটনার পর ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে সন্তানকে নিয়ে গেলে সেখান থেকে নাম কেটে চিকিৎসা না করিয়ে চলে আসতে বাধ্য করা হয়। 

বাদী অভিযোগে আরো উল্লেখ করেন, সন্ত্রাসীরা আমাকে জীবননাশের হুমকী দিয়ে যাচ্ছে। তাই আমি বাড়িতে থাকতে পারছিনা। সন্তানের চিকিৎসাও করাতে না পেরে নিরাপত্তাহীনতায় পালিয়ে দিন কাটাচ্ছি। আসামিদের সাথে বাদীর পারিবারিক বিরোধ আছে বলেও উল্লেখ করেন। এদিকে একই আসামিদের নাম উল্লেখ করে ঝালকাঠি থানায় পৃথক একটি জিডি করেন বিকনা এলাকার নাইম হাওলাদার। গত ১১ এপ্রিল ৪৪৫ নম্বর জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, এলাকার কিছু মাদক সেবনের ভিডিও কে বা কারা সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করে। তাদের মাদক সেবনের স্থান আমাদের বাড়ির কাছে হওয়ায় সন্দেহ করে মাদকসেবী মারুফ ও সজিব আমাকে এ মোবাইলে ভয়ভীত ও হত্যার হুমকী দেয়। হুমকী অডিও রেকর্ডিং সংরক্ষিত আছে বলেও জিডিতে উল্লেখ করেন নাইম।

উল্লেখ্য, গত চারদিন আগে ঝালকাঠি পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের জুম্মান, মারুফ ও রাকিবের ইয়াবা সেবনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এ বিষয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও জেলা যুবলীগের আহবায়ক রেজাউল করিম জাকির জানায়, তার ওয়ার্ডে এধরনের কোন ঘটনা ঘটেছে কিনা তিনি জানেন না এবং এরকম ঘটনার সাথে তার জড়িত থাকার প্রশ্নই উঠেনা।

এ ব্যাপারে ঝালকাঠি সদর থানার এএসআই সাইফুল ইসলাম জানায়, অভিযোগের বিষয়ে তিনি সরেজমিনে তদন্ত করেছেন। শীগ্রই তদন্ত রিপোর্ট তার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে প্রদান করবেন।

এ ব্যাপারে ঝালকাঠি সদর থানার ওসি খলিলুর রহমান বলেন, আগে খোঁজ নেই, ঘটনা না জেনে কিছু বলা যাবে না।

বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর