শিরোনাম
১৭ এপ্রিল, ২০২১ ১৭:৪৪

নির্বাচন কমিশনের ভুল, ‘জীবিত’ হওয়ার আশায় ঘুরছেন সহিদা বেগম!

দিনাজপুর প্রতিনিধি:

নির্বাচন কমিশনের ভুল, ‘জীবিত’ হওয়ার আশায় ঘুরছেন সহিদা বেগম!

দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে একযুগ আগে মারা যাওয়া স্বামীর অবসর ভাতায় সংসার চলছিল সহিদা বেগমের (৪৮)। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের তালিকায় সহিদা বেগমকে হঠাৎ মৃত দেখানো হয়। এতে গত ১৪ মাস ধরে স্বামীর অবসর ভাতা উত্তোলন করতে পারছেন না সহিদা বেগম। এমনকি অন্যান্য দাপ্তরিক কাজও করতে পারছেন না তিনি। তাই জাতীয় পরিচয় পত্রে ‘মৃত থেকে জীবিত’ সংশোধন হওয়ার আশায় ঘুরছেন দ্বারে দ্বারে।

জানা যায়, চিরিরবন্দর উপজেলার ভূমি অফিসের চতুর্থ শ্রেণির অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী আব্দুলপুর ইউনিয়নের নান্দেড়াই গ্রামের বাসিন্দা মৃত ফজিরউদ্দিনের স্ত্রী সহিদা বেগম। বাস্তবে জীবিত থাকলেও ভোটার তালিকায় তিনি মৃত। ভোটার তালিকায় মৃত হওয়ায় স্বামীর অবসরভাতা উত্তোলনসহ বিভিন্ন নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তিনি। এমনকি তিনি ভোট দিতেও পারছেন না।

সহিদা বেগমের একমাত্র ছেলে সহিদুল ইসলাম ভ্যান চালিয়ে সংসার চালায়। সহিদুল ইসলামের স্ত্রী, ছেলে ও মাকে নিয়ে চার সদস্যের পরিবার। 

সহিদা বেগম বলেন, আমার স্বামী মারা গেছেন প্রায় একযুগ আগে। তার মৃত্যুর পর আমি অবসর ভাতা গ্রহণ করে কোনোভাবে সংসার চালাতাম। আগে পাস বইয়ের মাধ্যমে টাকা তুলতাম। গত বছরে পাস বইয়ের স্থলে ব্যাংকে গিয়ে টাকা উত্তোলনের নিয়ম শুরু হয়। কিন্তু ব্যাংকে গিয়ে জানা যায়, আমাকে মৃত হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। আইডি কার্ড অনলাইনে সাপোর্ট নিচ্ছে না এবং মৃত দেখাচ্ছে। ফলে অবসর ভাতা গ্রহণ থেকে বঞ্চিত হই। পরে নির্বাচন অফিসে গেলে চেয়ারম্যানের প্রত্যয়নপত্র, ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি, পাস বই, ব্যাংকের চেকবইসহ যাবতীয় কাগজপত্র জমা দিতে বলে। নির্বাচন অফিস থেকে বিষয়টি সংশোধন করে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সেটি সংশোধন হয়নি। আমি জীবিত আছি, অথচ কমিশনের এমন গাফেলতির কারণে গত ১৪ মাস ধরে আমি কোনো টাকা তুলতে পারছি না। 

স্থানীয় আব্দুলপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. ময়েনউদ্দিন শাহ্ বলেন, ওই মহিলার নাম ভোটার তালিকায় ভুলবশত কর্তন করা হয়েছে। তিনি বর্তমানে জীবিত ও সুস্থ আছেন। আমি তার জীবিত থাকার একটি প্রত্যায়নপত্র দিয়েছি।

চিরিরবন্দর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আব্দুল মালেক সাংবাদিকদের জানান, চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি ভোটার তালিকায় ওই মহিলার নাম পুনরায় অর্ন্তভুক্ত করার জন্য ঢাকা আগারগাঁও নির্বাচন ভবনের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক বরাবর পত্র দেয়া হয়েছে। এখনও কোন রিপ্লাই আসেনি। দ্রুত সমস্যার সমাধান হয়, সেই চেষ্টা করছি। 


বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর