মধ্যযুগীয়ভাবে এক নারীকে নির্যাতনের ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত শাকিল হোসেন ওরফে শাকিল ডাক্তারসহ ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার দুপুরে পটুয়াখালী পুলিশ সুপার কার্যালয়ে প্রেসব্রিফিং এ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ জানান, বাউফল উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ৫নং ওয়ার্ডের দক্ষিন চরমিয়াজান ইউপি মেম্বর প্রার্থী বাবুল হাওলাদারের সমর্থক আ. সালাম হাওলাদারের বাড়ির সামনে অপর মেম্বর প্রার্থী মোঃ কামাল সিকদার এর সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে। এসময় বাবুল হাওলারের সমর্থক মোঃ নাসির খানের সাথে কামালের সমর্থক মো. কালু হাওলাদারের কথা কাটাকাটি হয়। এ কথাকাটাকাটির এক পর্যায় দুই মেম্বর প্রার্থীর সমর্থক কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও মারামারি হয়। এ সময় বাবুল হাওলাদারের সমর্থক শাকিল হোসেন ওরফে শাকিল ডাক্তারগং সন্ত্রাসীরা কালু হাওলাদারের সমর্থক আকলিমা আক্তারকে লাঠিসোটা দিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় মারধর এবং ঘরবাড়ি ভাংচুর করে। ঘটনার পরদিন ১৬ এপ্রিল তারিখ মধ্যযুগীয়ভাবে আকলিমা আক্তারকে মারধর করার দৃশ্য ভিডিও ফেইসবুকে ভাইরাল হয়। মারামারির ঘটনায় আ. সালাম হাওলাদার কর্তৃক লিখিত অভিযোগ প্রাপ্তির সাথে সাথেই বাউফল থানার নিয়মিত মামলা হিসাবে রুজু করে (মামলা নং ২০) প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নটি একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ও প্রত্যন্ত অঞ্চল হওয়ায় বিষয়টির গুরুত্বারোপ করে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ পিপিএম এর নির্দেশে ১৬ এপ্রিল শুক্রবার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. মুকিত হাসান খান, বাউফল থানার ওসি মো. আল মামুন ও ডিবি পুলিশের ইনচার্জ মো. শাহজাহান খানের সমন্বয়ে পুলিশের একটি দলকে ঘটনাস্থলে প্রেরণ করে। ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার ভিডিও থেকে আসামিদের চিহ্নিত করে রাতভর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৯ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় চৌকস পুলিশ দল।উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মাহফুজুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. মুকিত হাসান খান, বাউফল থানার ওসি মো. আল মামুন ও পটুয়াখালী ডিবি পুলিশের ইনচার্জ মো. শাহজাহান খানসহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ। ভিকটিম আকলিমা আক্তার বর্তমানে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসারত আছেন বলে পুলিশ সুপার জানান।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল
