ব্যান্ডেজে মোড়ানো শরীরের বিভিন্ন অংশ। গলা ও ঘাড়ে কুড়ালের আঘাতের চিহ্ন। কোথাও কোথাও রক্ত ঝরছে। প্রচণ্ড ব্যথা নিয়ে হাসপাতালের শয্যায় কাতরাচ্ছেন এক যুবক। আর এদিক-ওদিক তাকিয়ে স্ত্রী-স্বজনদের খুঁজছেন। মাঝেমধ্যে কেঁদে উঠছেন।
গত সোমবার সন্ধ্যার তার উপর সোনারগাঁওয়ে বারদীর শান্তিরবাজারে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। একপর্যায়ে মৃত ভেবে ফেলে গেলে এলাকাবাসী উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান তাকে।
প্রথমে তাকে সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে তাকে নেওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে। সেখান থেকে পাঠানো হয়েছে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে।
আহত যুবকের নাম জুয়েল (৩০)। তিনি উপজেলার মছলেন্দপুর এলাকার মুক্তিযোদ্ধা মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে। এলাকায় জমি ও বালুর ব্যবসা করেন জুয়েল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সোমবার ইফতারের আগ মুহূর্তে বেচা-বিক্রি নিয়ে ব্যস্ত ছিল দোকানিরা। হঠাৎ কয়েকজন জুয়েলকে কুপিয়ে জখম করেন। এদৃশ্য দেখে মুহূর্তেই পুরো বাজারের দোকান বন্ধ ও ক্রেতা শূন্য হয়ে যায়।
জাকারিয়া নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, ঘটনাটি বড় নির্মম। বাম হাতের একটি আঙুল ফেলে দেওয়া হয়েছে। পায়ের গোড়ালির মাংস নেই। এছাড়াও গলায় চাকুর আঘাত, কাঁধে ও পিঠে কুড়াল দিয়ে কোপানো হয়েছে। পুরো শরীরে অন্তত ২০০ সেলাই দিতে হয়েছে। এখনো মৃত্যুর ঝুঁকি রয়েছে। তাছাড়া সুস্থ হয়ে উঠলেও এই আঘাত বয়ে বেড়াতে হবে পুরো জীবন।
এ ব্যাপারে সোনারগাঁও থানার (ওসি) মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান বলেন, পুলিশ সুপার স্যারের নির্দেশনায় মামলা হয়েছে। আসামি ধরার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আমরা যত দ্রুত সম্ভব আসামিকে আইনের আওতায় আনবো।
বিডি প্রতিদিন/এমআই