মৌলভীবাজারের লাউয়াছড়া সংরক্ষিত বনাঞ্চলে আগুন গেলে পুরে গেছে বনের প্রায় দুই একর জায়গার জঙ্গল। শনিবার দুপুরের দিকে বনের বাগমারা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল ফায়ার স্টেশনের কর্মীরা গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। বন বিভাগ বলছে, তারা বনের এই জমির ঝোপ-জঙ্গল পরিস্কারের জন্য শ্রমিক লাগিয়েছিল। আগুন লাগার কারন অনুসন্ধানে বন বিভাগ তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. ওয়াহীদ জানান, আগুনে প্রায় বনের দুই থেকে আড়াই একর জায়গার ঝোপ-জঙ্গল পুড়ে গেছে। এখানে বড় কোন গাছ ছিল না। দমকলকর্মীরা দুই ঘণ্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
কমলগঞ্জ ফায়ার স্ট্রেশনের ভারপ্রাপ্ত ষ্ট্রেশন কর্মকর্তা মো. নূরুল ইসলাম জানান, ফরেস্টে আগুন লেগেছে এমন খবর পেয়ে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে আসেন। তারা বনের গাছ, বেত, বাঁশ ও কারেন্টের খুটিতে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে কিভাবে আগুন লাগতে পারে এ বিষয়টি তাদের জানা নেই।
প্রতিবেশ ও প্রাণবৈচিত্র্য সংরক্ষণ বিষয়ক গবেষক পাভেল পার্থ বলেন, কয়েক বছর পরপরই লাউয়াছড়া বনে আগুন লাগার ঘটনাটি খুবই দু:খজনক। এই আগুন লাগার কারনে সব থেকে বেশী বিপদে পড়বে বনের সাপ, ব্যাঙ, কচ্ছোপ, কেচো, গুইসাপ, বনের নিচু স্তরের পাখি ও নিচু স্তরে বসবাসকারি অনান্য জীবজন্তু। এছাড়াও বনে জন্মনো ফার্ন, মস, শৈবাল, গুলমো ও লতা জাতীয় উদ্ভীদ ক্ষতিগ্রস্থ হবে। আগুনের তাপে মাটিতে থাকে অনেক গাছের বীজ মারা যাবে। যা চলতি বর্ষা মৌসুমে অংকুরিত হওয়ার সম্ভাবনা ছিল।
রেঞ্জকর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, ফলজ ও বনজ বৃক্ষের চারা রোপনের জন্য শ্রমিকরা বনের এই স্থানে জঙ্গল পরিষ্কার করছিল। আগুনে প্রায় এক একর ঝোপ-জঙ্গল পুড়ে গেছে বলে তিনি জানান।
বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ (সিলেট) বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, দু'টো কারনে আগুন লাগতে পারে। একটা হচ্ছে কেউ ইচ্ছে করে লাগিয়ে দিল। অন্যটা হতে পারে কারো অসাবধানতাবশত। তবে সঠিক কি কারনে আগুন লেগেছে তার জন্য দুই সদস্যর তদন্ত কমিটি করে দিয়েছি। কমিটিকে তিনকার্য দিবসের মধ্য তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ