গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর নাটোরের গুরুদাসপুরের এক পা ও এক হাত না থাকা প্রতিবন্ধী মিজানুর রহমানের (৫০) পাশে দাঁড়ালেন গুরুদাসপুর উপজেলা র্নিবাহী অফিসার মো. তমাল হোসেন। শুক্রবার বিকালে উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের সাবগাড়ী এলাকায় বসবাস করা প্রতিবন্ধী মিজানুর রহমানের বাড়িতে গিয়ে দুই মাসের খাদ্যসামগ্রী উপহার দেন তিনি।
এ ছাড়া ঊর্ধ্বতন কর্তপক্ষের সাথে কথা বলে প্রধানমন্ত্রীর উপহার একটি ঘর তাকে দেওয়া যায় কি না, তা গুরুত্ব সহকারে দেখবেন বলেও আশ্বাস দেন ইউএনও। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আবু রাসেল।
দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে ‘এক হাত ও পা নেই, তবুও জীবন যুদ্ধে হার মানেননি মিজানুর রহমান’ এই শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়। সংবাদটি নজরে আসে গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তমাল হোসেনের। সংবাদটি নজরে আসার পরপরই শুক্রবার তিনি মিজানুর রহমানের সাহায্যে এগিয়ে আসেন।
উল্লেখ্য, একটি পা ও একটি হাত নেই মিজানুর রহমানের। ঘোড়ার গাড়িতে অন্যের জমি থেকে ধান বহন করে সংসার চালান তিনি। ৩৩ বছর আগে বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনায় তার বাম হাত ও বাম পা কাটা পড়ে। শত চেষ্টায়ও পঙ্গুত্ব থেকে রক্ষা পাননি তিনি। তবুও থেমে নেই তার জীবন। প্রতিবন্ধী মিজানুর রহমানের গ্রামের বাড়ি পাবনা জেলার ভাঙ্গুড়া উপজেলায়। তিনি বর্তমানে সাবগাড়ী এলাকায় ঘোড়ার গাড়িতে ধান বহন করে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করছেন।
মিজানুর রহমান বলেন, তার এক হাত এক পা না থেকেও পরিশ্রম করে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করছেন। তিন ছেলে, এক মেয়ে ও স্ত্রী নিয়ে তার সংসার। অভাব অনটনে দিন কাটে। এই দুঃসময়ে তাকে সহযোগিতা করার জন্য ইউএনওর প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তমাল হোসেন জানান, গণমাধ্যমে সংবাদটি দেখার পরপরই আমি তার ঠিকানা সংগ্রহ করি। প্রতিবন্ধী মিজানুর রহমানের বাড়িতে গিয়ে খাদ্যসামগ্রী প্রদান করেছি। মিজানুর রহমানের গ্রামের বাড়ি পাবনা জেলার ভাঙ্গুড়া উপজেলায়। তারপরও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে তাকে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঘর উপহার দেওয়ার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ