১৬ মে, ২০২১ ০৩:৫০

পিরোজপুরে ইউপি চেয়ারম্যানের উপর হামলার অভিযোগ

পিরোজপুর প্রতিনিধি:

পিরোজপুরে ইউপি চেয়ারম্যানের উপর হামলার অভিযোগ

পিরোজপুর সদর উপজেলার কদমতলা ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হানিফ খান ও তার সমর্থকদের উপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় হামলায় হানিফ খান ও তার সমর্থক ৫ জন দলীয় নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন পিরোজপুর সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক আব্দুস সোবাহান। 

সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এস এম বাইজিদ ও তার চাচা সিহাব হাওলাদারের নেতৃত্ব এ হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে এস এম বাইজিদ জানান, তিনি তো কদমতলায় উপস্থিত নেই। তার চাচার উপর হামলা হয়েছে।

জানা যায়, শনিবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে পিরোজপুর সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়নের কদমতলা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলো  কদমতলা ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো: হনিফ খান (৪৫) পিরোজপুর সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়নের মো: আলী খানের ছেলে, মিজান শেখ (৩৮) সদর উপজেলার  কদমতলা এলাকার সোবাহান শেখের ছেলে, মুনান খান (১৯) চলিশা এলাকার আফতাব আলীর ছেলে, লিটন খান (৪০) সদর উপজেলার  কদমতলা এলাকার মো: আলী খান এর ছেলে ,তন্ময় গাজী (২০) সদর উপজেলার চলিশা এলাকার টেনু গাজীর ছেলে, তাজুল ইসলাম (২২) আহতরা পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। এদের মধ্যে গুরুতর আহত মিজান শেখ ও মুনান খান উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। 

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত কদমতলা ইউপি চেয়ারম্যান হানিফ খান জানান, তিনি আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ঈদের পরে কুশল বিনিময়ের জন্য ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়। এ সময় রাত সাড়ে ৮ টার দিকে বায়জিদ ও সিহাবের নেতৃত্বে চিহ্নিত ৫০/৬০ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী তাদের উপর হামলা চালায়। সন্ত্রাসীরা তার উপর সহ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উপরে বোমা নিক্ষেপ করে এবং গুলি করে। পরে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে জখম করে এবং তার সাথে থাকা প্রায় ৭/৮ জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পুলিশ তাদের বাঁচাতে গেলে সন্ত্রাসীদের হামলায় সদর থানার ওসি (অপারেশন) গুরুতর আহত হয়। 

সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এস এম বাইজিদ জানান, রাতে তার চাচা সিহাব নামাজ পরে মসজিদ থেকে ফিরে আসার সময় হানিফ খানের লোকজন পিছন থেকে বোমা ও ইট নিক্ষেপ শুরু করে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পরলে ৪/৫ শত লোক ইউনিয়ন পরিষদ এর কাছে একত্রিত হয়। পরে তাদের প্রতিরোধে কেউ কেউ আহত হতে পারে।  
সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক আব্দুস সোবাহানের কথায় সিহাব মসজিদ থেকে লোকজন নিয়ে ফিরে যাচ্ছিল। এ সময় পিছন থেকে হামলায় পুলিশ পরিদর্শক সোবাহানও আহত হয়েছে বলে জানান এস এম বাইজিদ। 

পিরোজপুরের পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান জানান, ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। এ ঘটনায় পুলিশও আহত আছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিডি প্রতিদিন/ মজুমদার 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর