ইউপি নির্বাচন স্থগিত। তবুও বাগেরহাটের শরণখোলার সাউথখালীতে থেমে নেই নির্বাচনী সহিংসতা। প্রতিপক্ষরা পিটিয়ে খাদিজা বেগম (৪৫) নামে এক নারীর পা ভেঙে দিয়েছে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মাথায় গুরুতর জখম করা হয়েছে আলাল ফরাজীকে (২৫)। এনিয়ে তিন নারীসহ আহত হয়েছেন পাঁচ জন। 

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাউথখালী ইউনিয়নের বকুলতলা গ্রামে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। আহত অন্য তিন জন হলেন- শাহিনুর বেগম (৪২), স্কুলছাত্রী মারুফা আক্তার (১৪) এবং স্কুলছাত্র মো. বাবু (১৫)। এদের মধ্যে খাদিজা বেগমকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (খুমেক) পাঠানো হয়েছে। অন্যদের শরণখোলা উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ইউপি মেম্বর দেলোয়ার হোসেন খলিল অভিযোগ করে বলেন, আহতরা আমার কর্মী-সমর্থক। তারা সন্ধ্যা ৬টার দিকে নিজ বাড়ির সীমানায় বেড়া দিচ্ছিলেন। এমন সময় সেকেন্দার ফরাজীর ছেলে শামীম ফরাজীর নেতৃত্বে ৮-১০ লোক লাঠি ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। তারা পিটিয়ে ও কুপিয়ে তাদেরকে আহত করে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

জানতে চাইলে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শহিদুল ইসলাম খান বলেন, শুনেছি জমি-জমার দ্বন্দ্বের জেরে ওই হামলার ঘটনা ঘটেছে। এটা তাদের পারিবাকি বিষয়। হামলাকারীরা কেউই আমার কর্মী-সমর্থক না।  

শরণখোলা উপজেলা হাসপাতালের আবাসিক স্বস্থ্য কর্মকর্তা (আরএমও) এস এম ফয়সাল আহমেদ জানান, সাড়ে সাতটার দিকে আহতরা হাসপাতালে আসেন। এদের মধ্যে পা ভাঙা খাদিজা বেগম নামে এক নারীকে খুমেকে পাঠানো হয়েছে। 

শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুর রহমান জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার