নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ দুইজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তারা হলেন- বসুরহাট পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত শামছুল হকের ছেলে সবুজ (৪০) ও আবদুল লতিফের ছেলে মো. সানি (২৭)।
নোয়াখালী জেনালের হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম জানান, শনিবার মধ্যরাতে সবুজ ও সানিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
শনিবার রাত ৮টার দিকে বসুরহাটে পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও তার ভাগ্নে উপজেলা আওয়ামী লীগের মুখপাত্র মাহবুবুর রশিদ মঞ্জুর অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলি হয়।
আবদুল কাদের মির্জার অভিযোগ মঞ্জু, বাদলের লোকজনের হামলায় তার আট কর্মী গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার সকালে বসুরহাট বাজারে আবদুল কাদের মির্জার নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলকারীরা নোয়াখালীর ডিসি, এসপি, সহকারী পুলিশ সুপার, কোম্পানীগঞ্জের ইউএনও, এসিল্যান্ড ও ওসির প্রত্যাহারসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও প্রতিপক্ষ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নানা রকম স্লোগান দেন।
অন্যদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের মুখপাত্র মাহবুবুর রশিদ মঞ্জুর দাবি, শনিবার মধ্যরাতে তাদের তিন কর্মীকে আহত করে তাদের বাড়িতে গুলি, হাতবোম বিস্ফোরণ এবং ভাঙচুর চালান আবদুল কাদের মির্জার লোকজন।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার জানান, উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে বড় ধরনের সংঘাত এড়াতে বসুরহাটে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ