সরকার ঘোষিত লকডাউনের নির্দেশনা অনুযায়ী শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে শুধুমাত্র পণ্যবাহী ও জরুরি গাড়ি পারাপারে সচল রয়েছে ফেরি চলাচল। কিন্তু সোমবার (২৮ জুন) সকাল থেকে দলে দলে ফেরিতে উঠছে মানুষ।
জানা গেছে, লকডাউন বিধি উপেক্ষা করে শিমুলিয়া ঘাটে উপস্থিত হওয়া দক্ষিণবঙ্গগামী যাত্রীরা ফেরিতে পারাপার হচ্ছে সকাল থেকে। হাইওয়ে রোড দিয়ে সিএনজি, লেগুনা ও অটো চলাচল করছে এখনো। ফলে যাত্রীরা অনায়াসেই মাওয়া শিমুলিয়া ঘাটে এসে পৌঁছে যাচ্ছে খুব দ্রুত।
গতকাল রবিবার (২৭ জুন) যাত্রীর চাপ ও ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ থাকায় দিনভর ব্যাহত হয় পণ্যবাহী গাড়ি পারাপার। ফলে ঘাট এলাকায় একদিকে তৈরি হয় এসব গাড়ির দীর্ঘ সারি, অন্যদিকে ভোগান্তিতে পড়েন শত শত ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানচালক। ১৮ থেকে ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় অপেক্ষা করেও ফেরিতে উঠতে পারেননি এ সকল গাড়ির চালকগণ।
ফেরিতে ওঠার অপেক্ষায় রয়েছে ব্যক্তিগত প্রাইভেটকারসহ ৪ শতাধিক ট্রাক। এর মধ্যে কোনো চালক ৮ ঘণ্টা, কেউ ১৮ ঘণ্টা আবার অনেকে ২৪ ঘণ্টা অপেক্ষা করেও ফেরিতে উঠতে পারেননি। লকডাউনে দোকান বন্ধ থাকায় খাবার ও বিভিন্ন সমস্যা পোহাতে হয়েছে তাদের। বিশেষ করে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে তাদের বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। দীর্ঘ সময় অপক্ষোর কারণে আর্থিক ক্ষতি আর খাবারের কষ্টে চরম দুর্ভোগে পরেছেন ঘাটে আসা এসকল চালকরা।
ট্রাক চালক জমির বলেন, লকডাউনে ঘাটের দোকানপাট বন্ধ। আমাদের খেয়ে না খেয়ে থাকতে হচ্ছে। আর সাধারণ মানুষ আসছে যাচ্ছে। আমাদের দেখার কেউ নেই। একদিন গাড়ি নিয়ে বসে থাকলে ৩-৪ হাজার টাকা লোকসানের কবলে পড়তে হচ্ছে।
এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক সাফায়েত আহমেদ বলেন, গতকাল রবিবার দিনভর ঘাটে যাত্রীদের প্রচণ্ড চাপ ছিল। তাই পণ্যবাহী গাড়ি পারাপার কিছুটা ব্যাহত হয়েছে। এখনো লোকজন আসছে। তবে অপেক্ষমান পণ্যবাহী ট্রাক রয়েছে সারিবদ্ধ। প্রাইভেট কার ও যাত্রীর চাপ রয়েছে আজকেও।
যাত্রী পারাপারের বিষয়ে তিনি বলেন, যাত্রীদের ক্ষেত্রে আমাদের সুনিদিষ্ট নির্দেশনা নেই। তবে গণপরিবহন বন্ধ থাকার নির্দেশনা রয়েছে। ঘাটে যারা আসছে তারা পার হচ্ছে। বর্তমানে শিমুলয়া নৌরুটে ১৬টি ফেরি রয়েছে। এর সধ্যে ১৪টি সচল রয়েছে। আরও ২টি ফেরি মেরামত হয়ে ঘাটে রয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ আল সিফাত