বাগেরহাটের শরণখোলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্লুইস গেট এখন এলাকাবাসীর মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। তিন দিনের অবিরাম বৃষ্টিতে রবিবার সর্বশেষ হিসেবে উপজেলার ৬০ হাজারের বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
ফসলের ক্ষেত, মাঠ, পুকুর, রাস্তা-ঘাট এখনো পানিতে তলিয়ে রয়েছে। পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় মানুষ দিশাহারা হয়ে পড়েছে। নির্মাণাধীন বেড়ি বাঁধে অপরিকল্পিত ও অপর্যাপ্ত স্লুইস গেটের কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খাতুনে জান্নাত বলেন, অতিবৃষ্টিতে শরণখোলায় মানুষ এখনো পানিবন্দি হয়ে রয়েছেন। এই অবস্থা থেকে স্থায়ী সমাধানের জন্য জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করে একটি সুপারিশ তৈরি করা হয়েছে। সুপারিশগুলো জেলা পানি ব্যবস্থাপনা কমিটির বৈঠকে উপস্থাপিত হবে। এছাড়া জেলা প্রশাসন থেকে সোমবার একনেকের সভায় উপস্থাপনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে একটি সুপারিশ প্রেরণ করা হবে।
শরণখোলা উপজেলা চেয়ারম্যান রায়হান উদ্দিন শান্ত বলেন, নির্মাণাধীন বেড়ি বাঁধের স্লুইস গেটগুলো আগের তুলনায় অনেক ছোট এবং অপর্যাপ্ত। তাই একটি লকগেট এবং কমপক্ষে আরও সাতটি বড় স্লুইসগেট নির্মাণ করা হলে এ সমস্যার সমাধান হবে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমল হোসেন মুক্তা, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিলন, সাউথখালী ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোজাম্মেল হোসেন, খোন্তাকাটা ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন খান মহিউদ্দিন, রায়েন্দা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এম এ রশিদ আকন জানান, বিগত ২০ বছরেরও শরণখোলাবাসী এমন জলাবদ্ধতা দেখেনি। পানি উন্নয়ন বের্ডের অপরিকল্পিত স্লুইস গেটের কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুত পরিকল্পিত এবং পর্যাপ্ত স্লুইসগেট নির্মাণ করা না হলে শরণখোলার মানুষ নিঃস্ব হয়ে যাবে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার