‘এতদিন হামার বাড়ি ভিটা কিছুই ছিল না মানুষের জমিত বাড়ি করি আছিনো। শ্যাখের বেটি হাসিনা হামাক ভিটা মাটির ব্যবস্থা করি দিছে। হামরা পাকা ঘরত ভাল আছি, ঘর গিলাও ভাল হইছে, ঘরের কোন সমস্যা নাই। হামরা এলা সুখে দিন কাটাছি। সারাদিন কাজকর্ম করি রাইতোত মনের আলন্দে পাকা ঘরত ঘুমাইছি, হামরা এলা খুব ভালো আছি। কথাগুলো বলছিলেন নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের গৃহহীন মোর্শেদা বেগম। মানুষের বাসায় কাজ করে দিন চলে তার। শুধু মোর্শেদা বেগম নন আরও ৩৮৫ জন হতদরিদ্র মানুষ পেয়েছেন দুর্যোগ সহনীয় বাসঘর।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্যোগে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ(টিআর) কর্মসূচির আওতায় ইতোমধ্যে এসব ঘর তৈরি করা হয়েছে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে নীলফামারীর ডিমলায় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ১ম ও ২য় পর্যায়ে জমি ও ঘর পেয়েছে মোট ৩৮৫টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার।
এরমধ্যে উপজেলার সদর ইউনিয়নে ৪০টি, বালাপাড়া ইউনিয়নে ১১৪টি, ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নে ৬০টি,খালিশা চাপানী ইউনিয়নে ৩০টি, খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়নে ১১৬টি, টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নে ১০টি ও পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নে ১৫টি ভুমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মধ্যে জমি ও ঘর হস্তান্তর করেন ডিমলা উপজেলা প্রশাসন। প্রতিটি ঘরে বরাদ্দ ছিলো ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা।
ডিমলা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী ফেরদৌস আলম জানান, সরকার নির্ধারিত ডিজাইনের বাহিরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে ঘরগুলো অধিক মানসম্মত করতে অতিরিক্ত ১৫ ইঞ্চি সলিং, ১৫ ইঞ্চি সিসি বেইচ, পুরো ঘরে টানা নিল্টন এবং বারান্দার প্রতিটি পিলারে রড ব্যবহার করা হয়েছে। ১৫ সিএফটি কাঠের জায়গায় প্রায় ১৯ সিএফটি কাঠ ব্যবহার করা হয়েছে। ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘরগুলোর গুনগতমান পরিদর্শন করে নির্মিত ঘরসমূহের সকল কাজের গুনগতমান সঠিক আছে এই মর্মে প্রত্যায়ন দিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মির্জা মুরাদ হাসান বেগ।
ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়শ্রী রানী রায় বলেন, ঘরগুলো নির্মাণের সময় প্রতিটি বিষয়ে সঠিকভাবে তদারকি করা হয়েছে। মানসম্মত কাজের ফলে ঘরগুলোর কোন সমস্যা হবে না বলে তিনি জানান।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার