রংপুরের বদরগঞ্জে স্ত্রীর শাড়ী পেঁচানো গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় আতিকুর রহমান (৩৭) নামে এক পল্লী চিকিৎসকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে পুলিশ বলছে, এটি হত্যা না আত্মহত্যা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর তা নিশ্চিত হওয়া যাবে। বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনাটি ঘটে উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের কিসামত বসন্তপুর গ্রামে। শুক্রবার সকালে পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মর্গে পাঠায়। সে গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ফজলুল হকের ছেলে। এ ঘটনায় বদরগঞ্জ থানায় ইউডি মামলা করা হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সহকারি পুলিশ সুপার (এএসপি) সিফাত ই রাব্বান।
পুলিশ ও স্বজনদের সুত্রে জানা গেছে, ছোট বেলায় আতিকুর রহমানের মায়ের মৃত্যুর পর পারিবারিক অশান্তির মধ্যে বড় হয় সে। নিজ এলাকায় তিনি ছিলেন পল্লী চিকিৎসক। বৃহস্পতিবার তার বাবা ফজলুল হকের সঙ্গে আতিকুরের ঝগড়া হয়। ওই রাতে নিজ শয়ন কক্ষে গলায় স্ত্রী মমতাজের শাড়ী পেঁচানো অবস্থায় তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। শুক্রবার তার লাশময়না তদন্তের জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
বদরগঞ্জ থানার ওসি হাবিবুর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা তা নিশ্চিত করা যায়নি। এ কারণে মরদেহ উদ্ধার করে রংপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন