স্বল্প সময়ে উচ্চ ফলনশীল ব্রি-ধান-৪৮ পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করে সফলতা পেয়েছেন কৃষকরা। অন্য ধানের তুলনায় এ জাতের ধানে ৩০-৪০ ভাগ পানি ও সার কম লাগে। এটির ফলন বেশি ও বাজারে এখন ধানের দামও বেশি হওয়ায় কৃষরিা লাভবান হচ্ছেন। ৩ একর জমিতে চাষ করে এ ধান হয়েছে প্রায় ৪ টন। পরীক্ষামূলক এ ধানের চাষ করেছে বীরগঞ্জের ৫শ' কৃষক।
ব্রি-ধান-৪৮ আউশ মৌসুমে অত্যন্ত সম্ভবনাময় জাত, জীবনকাল কম, ফলন বেশি। এ জাতের বিশেষ গুণ হচ্ছে ব্রি-ধান ৪৮ এর গাছ শক্ত, তাই সহজে হেলে পড়ে না, ছড়ায় ধানের সংখ্যা বেশি এবং চিটার সংখ্যা খুবই কম। ফলে আউশ মৌসুমে এ জাতের আবাদ বৃদ্ধি করে এদেশের খাদ্য নিরাপত্তা আরও টেকসই করে বিদেশে চাল রপ্তানি করা সম্ভব হবে। আর উচ্চ ফলনশীল ফসলের গবেষণা কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে ও দেশের খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই হবে। এমনটাই বললেন কৃষি কর্মকর্তারা।
গত রবিবার বিকেলে বীরগঞ্জ উপজেলার ভোগনগর ইউপির ভোগনগর গ্রামের মোঃ রুহুল আমীনের ৩ একর জমির প্রদর্শনী প্লটে শস্য কর্তনের উদ্বোধন করেন জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর, খামারবাড়ী দিনাজপুরের উপ-পরিচালক প্রদীপ কুমার গুহ।
কৃষি অফিস জানায়, বীরগঞ্জে ৩২ হাজার হেক্টর আবাদি জমির মধ্যে ১৭৫ হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলনশীল ব্রি-ধান-৪৮এর চাষ হয়েছে। ব্রি-ধান-৪৮ এর ফলন তুলনামূলকভাবে বেশি। উচ্চ ফলনশীল ব্রি-ধান-৪৮ বীজতলা থেকে শুরু করে ধানকাটা পর্যন্ত ১০০ থেকে ১১০ দিন পর্যন্ত সময় লাগে।
উদ্যোক্তা কৃষক মোঃ রুহুল আমীন জানান, বীরগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসের সহায়তায় ৩ একর জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে উচ্চ ফলনশীল ব্রি-ধান-৪৮এর চাষ করেন। ১৫ এপ্রিল থেকে এ ধান চাষ শুরু করে এখন কাটা মাড়াই চলছে। ৩ একর জমিতে ধান হয়েছে প্রায় ৪ টন। এখন ধানের দাম একটু বেশি থাকায় বেশ লাভবান হবেন বলে জানান তিনি। আবার এই জমিতে এখন আমন ধান চাষ করবেন।
বীরগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার আবুরেজা মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, ব্রি-ধান-৪৮ আউশ মৌসুমে অত্যন্ত সম্ভবনাময় জাত, জীবনকাল কম, ফলন বেশি। এ জাতের বিশেষ গুণ হচ্ছে ব্রি-ধান-৪৮ এর গাছ শক্ত, তাই সহজে হেলে পড়ে না, ছড়ায় ধানের সংখ্যা বেশি এবং চিটার সংখ্যা খুবই কম। ফলে আউশ মৌসুমে এ জাতের আবাদ বৃদ্ধি করে এ দেশের খাদ্য নিরাপত্তা আরও টেকসই করে বিদেশে চাল রপ্তানি করা সম্ভব হবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর, খামারবাড়ী দিনাজপুরের উপ-পরিচালক প্রদীপ কুমার গুহ জানান, বর্তমান সরকার কৃষি বান্ধব সরকার। প্রধানমন্ত্রী দেশের কৃষি ক্ষেত্রে বেশ আন্তরিক। এই ধারবাহিকতায় উচ্চ ফলনশীল ফসলের গবেষণা কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে ও দেশের খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই হবে।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ