টানা দেড় মাস লকডাউনের পর হাফ ছেড়ে উঠেছেন ভ্রমণপিপাসুরা। ইট-দালানের ঘর থেকে বেরিয়ে তারা ছুটে আসছে প্রকৃতির পাণে। ঘুরে বেড়াচ্ছে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে। গত শুক্রবার মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের পর্যটন কেন্দ্র গুলো পর্যটকদের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠেছিল।
সরেজমিনে লাউয়াছড়া, বধ্যভূমি ৭১ ও বিভিন্ন চা বাগান ঘুরে দেখা যার এমন চিত্র। পরিবার পরিজনদের সাথে এসেছে শিশু-কিশোররাও। তারা ঘুরে ঘুরে দেখছেন শ্রীমঙ্গলের প্রকৃতিক সৌন্দর্য।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা বিভাগের উপ পরিচালক আনিছুল আলম জানান, তারা প্রতিবছরই ভ্রমণে বের হন। কিন্তু লকডাউনের কারণে গত দেড় বছর ধরে কোথাও যাওয়া যায়নি। লকডাউন উঠে যাওযায় শ্রীমঙ্গলে এসেছেন। প্রকৃতির সান্নিধ্যে এসে খুব ভাল লাগছে। একই কথা জানালেন ঢাকার খিলগাঁত্ত থেকে আসা ব্যবসায়ী শেখ মোহাম্মদ জিহাদুল ইমান শুভ। তিনি পরিবারের পাঁচ সদস্য নিয়ে এখানে এসেছেন। দুই দিন থেকে এখানকার পর্যটন কেন্দ্র গুলো ঘুরে দেখবেন। পর্যটকরা উপভোগ করছেন চা বাগানের সৌন্দর্য। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজরিত বধ্যভূমির ৭১। নিচ্ছেন রমেশে রাম গৌড়ের সাত কালারের চায়ের স্বাদ। আর শিশু-কিশোররা ঘুরে ঘুরে দেখছে বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনে চিড়িয়াখানার বন্যপ্রাণী।
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের বিট কর্মকর্তা মামুনুর রহমান বলেন, গত ২০ তারিখ থেকে লাউয়াছড়া পর্যটকদের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। প্রতিদিনই দেশী-বিদেশী পর্যটকরা উদ্যানে আসছেন। গত সাত দিনে লাউয়াছড়ায় ২ হাজার ৩১৩ জন পর্যটন প্রবেশ করেছেন।
গ্রান্ড সেলিম রিসোর্টের মালিক সেলিম আহম্মেদ বলেন, পর্যটকরা আসতে শুরু করেছে। তার রিসোর্টে ৯০ শতাংশ রুম বুকিং হয়ে গেছে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন