ফরিদপুরের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। গত দুইদিন বন্যার পানি না বাড়লেও গতকাল শুক্রবার রাত থেকে আজ সকাল পর্যন্ত দুই সেন্টিমিটার পানি কমেছে। যদিও ফরিদপুরের গোয়ালন্দ পয়েন্টে পদ্মার পানি এখনো বিপৎসীমার ৪৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বন্যার পানিতে এখনো প্লাবিত রয়েছে ফরিদপুর সদর উপজেলার ডিক্রিরচর, নর্থ চ্যানেল, চরমাধবদিয়া ও আলিয়াবাদ ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক গ্রাম। এছাড়া চরভদ্রাসন, সদরপুর ও ভাঙ্গা উপজেলার শতাধিক গ্রাম প্লাবিত থাকায় এসব গ্রামের ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। বন্যার পানি কমতে থাকায় মানুষের মধ্যে দুর্ভোগ বেড়েছে। প্লাবিত এলাকাসমূহের মধ্যে কয়েকটি গ্রামের মানুষের মধ্যে অল্পকিছু ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হলেও বেশীর ভাগ মানুষই ত্রাণের আওতায় আসেনি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলার বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল এলাকাসমূহ প্লাবিত হওয়ায় আমন ধান, বাদাম ও বিভিন্ন প্রকার সবজির খেত তলিয়ে গেছে। এসব এলাকার দেড় হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে।
এদিকে পদ্মা, আড়িয়াল খাঁ, মধুমতী ও গড়াই নদীর ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণ করেছে। পদ্মার ভাঙ্গনের কারণে ডিক্রিরচর ও নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের সাতটি গ্রামের মানুষের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। প্রতিদিনই ভাঙ্গছে নতুন নতুন এলাকা। ভাঙ্গনের কারণে বেশকিছু ফসলী জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।
এছাড়া আড়িয়াল খাঁ নদীর ভাঙ্গনে সদরপুর, মধুমতী ও গড়াই নদীর ভাঙ্গনে আলফাডাঙ্গা এবং মধুখালী উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রামের বসত বাড়ী ফসলী জমি ও বেশকিছু স্থাপনা বিলীন হয়েছে। নদী ভাঙ্গনের কারণে আতংকিত হয়ে দিন কাটাচ্ছে নদী তীরবর্তী ভাঙ্গন কবলিত এলাকার মানুষেরা।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর