বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্চের ঘাগড়ামারী এলাকায় বাঘের আক্রমণে আহত একটি মায়াবী হরিণ (বাকিং ডিয়ার) লোকালয় থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসা শেষে সুন্দরবনে অবমুক্ত করেছে বন বিভাগ। সুন্দরবনের বাঘের আক্রমণে আহত মায়াবী হরিণ ঢংমারী খাল সাতরিয়ে কোন এক সময়ে দাকোপ উপজেলার খেজুরিয়া গ্রামের লোকালয়ে আশ্রয় নেয়। সোমবার সকালে লোকজন হরিণটিকে দেখতে পেয়ে সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে খবর দেয়। বন বিভাগ আহত হরিণটিকে উদ্ধার করে চিৎকিসা শেষে আজ বিকালে সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে অবমুক্ত করা হয়েছে।
বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির জানান, সুন্দরবনের বাঘের আক্রমণে আহত মায়াবী হরিণ বনের ঘাগড়ামারী ফরেস্ট অফিস সংলগ্ন ঢাংমারী খাল পাড়ি দিয়ে কোন এক সময়ে দাকোপ উপজেলা লোকালয়ের খেজুরিয়া গ্রামে চলে যায়। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে, কয়েকদিন আগে বাঘের আক্রমণে ৬ থেকে ৭ বছর বয়সের পুরুষ প্রজাতির মায়াবী হরিণটি (বাকিং ডিয়ার) গুরুতর আহত হয়। হরিণটির গলার কাছে ক্ষতস্থানে পোকা হয়ে যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরেই মূলত অস্থির হয়ে ছুটাছুটি করে বন ছেড়ে খাল পেরিয়ে লোকালয়ে চলে যায়। সোমবার সকালে লোকজন হরিণটিকে দেখতে পেয়ে সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্র খবর দেয়। খবর পেয়ে দ্রত আহত হরিণটিকে উদ্ধার করে সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। আহত হরিণের বাম কানের উপরে মাথায় ও কানের নিচে ঘাড়ের উপর বাঘের নখের থাবার ক্ষত চিহ্ন রয়েছে। ক্ষতস্থানের পোকা পরিস্কার ও ওষুধ খাইয়ে সুস্থ করে বিকালে সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে অবমুক্ত করা হয়েছে।
এ সময় করমজলের কর্মকর্তা মো. হাওলাদার আজাদ কবির ছাড়াও সুন্দরবনের ঢাংমারী স্টেশন কর্মকর্তা মো. সামানুল কাদির ও ঘাগড়ামারী অফিসের বন প্রহরিরা উপস্থিত ছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন