মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার ৯৯ পুরাতন ধামশ্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাত্র একজন শিক্ষক দিয়ে চলছে শিক্ষা কার্যক্রম। শিক্ষাপ্রাপ্তি থেকে মারাত্মকভাবে বঞ্চিত হচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিভাবকরা।
মঙ্গলবার সরেজমিন দেখা যায়, বিদ্যালয়ের রুমে তালা দেওয়া। শিক্ষার্থীরা বাইরে বসে অপেক্ষা করছে, কখন তাদের শিক্ষক আসবেন। সকাল ৯টায় রুম খোলার নিয়ম থাকলেও প্রধান শিক্ষক পৌনে ১০টায় এসে তালা খুলে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করেন। বিদ্যালয়ের তিনিই একমাত্র শিক্ষক।
অভিভাবকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দীর্ঘ ১৮ মাস পড়ে স্কুল খুললো। এমনিতেই ছেলে-মেয়েদের জীবন শেষ। স্কুলে মাত্র একজন স্যার। একজন দিয়া কি স্কুল চলে!
স্থানীয় সমাজসেবক আব্দুল কাদের বলেন, অনেক কষ্টে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। শুরু থেকেই লেখাপড়া ঠিকমতো হয়নি। একজন মাত্র শিক্ষক যখন মন চায়, তখন আসে। ছাত্ররা এসে বাইরে বসে থাকে। চারদিকে পানি, বাচ্চাদের কিছু হলে দায় নেবে কে? টাকা খরচ করে বাচ্চারা নৌকায় আসা-যাওয়া করে, পড়ালেখা না হলে এখানে এসে লাভ কী? এই স্কুলে একটি পিয়ন পর্যন্ত নেই!
৯৯ নম্বর ধামশ্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রুপচান মিয়া বলেন, বিদ্যালয়ে মোট তিনজন শিক্ষক নিয়োগপ্রাপ্ত, দুইজন প্রশিক্ষণে রয়েছেন। আমি একাই সব করছি। সব বিদ্যালয়ে পিয়ন থাকলেও এখানে নেই। পিয়নের কাজও আমিই করি। তবে নৌকা না পাওয়ার কারণে বিদ্যালয়ে আসতে দেরি হয় বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তাপস কুমার অধিকারী বলেন, খুব তাড়াতাড়ি শিক্ষকের ব্যবস্থা করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই