ঘর থেকে বাইরে পা বাড়ানোর উপায় নেই। তীব্র যানজটে নাকাল সাধারণ মানুষ। ফলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সাধারণ মানুষের কেটে যাচ্ছে সড়কে। গত একমাস ধরে বেনাপোলে সৃষ্টি হয়েছে স্মরণকালের ভয়াবহ যানজট। এতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে দুই দেশের মধ্যে আমদানি ও রফতানি কার্যক্রম। ভোগান্তিতে পড়েছেন ব্যবসায়ী, পথচারীসহ ভারত গমনকারী পাসপোর্ট যাত্রীরা।
বেনাপোলে ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ট্রাক টার্মিনাল না থাকায় বেনাপোল বন্দরে আসা রফতানি পণ্যবাহী ট্রাক দিনের পর দিন দাঁড়িয়ে থাকছে একমাত্র সড়কটিতে। বন্দর থেকে ৮ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তৈরি হয়েছে যানজট। একমাস ধরে বেনাপোল বন্দরে রফতানির অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে প্রায় দুই হাজার পণ্যবাহী ট্রাক। ধীর গতিতে ভারতে পণ্য রফতানির কারণে ১০ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হচ্ছে পণ্যবাহী ট্রাককে।
ফলে বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের জরুরি কাঁচামালসহ অন্যান্য পণ্য আমদানি মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। ভারতে পণ্য রফতানি বেড়ে যাওয়ার কারণে প্রতিদিন প্রায় ১০০ ট্রাক পণ্য আমদানি কম হচ্ছে। রাস্তায় পুলিশি টহল না থাকায় রাস্তার উপর অপেক্ষমাণ ট্রাক থেকে তেল, ব্যাটারি, মালামাল, কাগজপত্র, মোবাইল, মানিব্যাগ ও টাকা-পয়সা চুরি যাচ্ছে। নাইট গার্ড পরিচয়ে গভীর রাতে চালকদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। পৌর গেট থেকে চেকপোস্ট পর্যন্ত পৌঁছাতে গাড়ি প্রতি ৭০০-৮০০ টাকা চাঁদা দিতে হচ্ছে কথিত গার্ডদের। চাঁদা না দিলে মারধরের শিকারও হচ্ছেন গাড়ির চালক ও হেলপাররা।
বেনাপোল ট্রাকের সারি বেড়ে যাওয়ার কারণ দেখিয়ে বন্দর ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বলছে, ভারতীয় কর্তৃপক্ষ চাহিদার তুলনায় কমসংখ্যক রফতানি পণ্যের ট্রাক নেওয়ায় যানজট শুরু হচ্ছে।
বেনাপোল কাস্টম হাউসের কমিশনার মো. আজিজুর রহমান বলেন, বেনাপোল বন্দর এলাকায় স্মরণকালের ভয়াবহ যানজট সৃষ্টি হয়েছে। ফলে আমদানি বাণিজ্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ব্যাহত হচ্ছে রাজস্ব আদায় প্রক্রিয়াও।
তিনি বলেন, হঠাৎ করে রফতানি বেড়ে যাওয়ায় ট্রাকের চাপে আমদানি বাণিজ্যও কমে গেছে। এতে রাজস্ব আদায়ে বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে বিষয়টি দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই