নাটোরের লালপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিকের বিরুদ্ধে প্রণোদনার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বরাবর আবেদন করেছেন। এছাড়া নাটোর জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও নাটোর প্রেসক্লাবেও অভিযোগের অনুলিপি পাঠানো হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মাধ্যমে ১৭৩০টি পরিবারের জন্য ৪৫০ টাকা করে সাত লাখ ৭৮ হাজার ৫০০ টাকা ও গরিব অসহায় ৫০০ পরিবারে মাসে ৫০০ টাকা করে দেওয়ার জন্য দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ পান। এসব টাকা বিতরণের জন্য তিনি ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের নাম-ঠিকানা, ভোটার আইডি ও মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করেন।
তিনি অসহায়-দরিদ্র মানুষদের জানান, টাকা আসলে মোবাইলে চলে যাবে। পরে তিন মাস অপেক্ষা করেও টাকা না পেয়ে তারা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন অনেক আগেই এসব টাকা বিতরণ করা হয়ে গেছে। উপজেলা পরিষদে খবর নিয়ে তারা জানতে পারেন, তাদের নাম-ঠিকানা, ভোটার আইডি ও মোবাইল নম্বরসহ জমা দেওয়া তালিকা দেখিয়েই চেয়ারম্যান টাকা তুলে আত্মসাৎ করেছেন।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে লালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক বলেন, তার ইউনিয়ন পরিষদে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। যেসব নাম তালিকা করে পাঠিয়েছেন, তাদের সবাই টাকা পেয়েছেন।
সোমবার বিকেলে এ বিষয়ে জানতে চাইলে লালপুর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাম্মী আক্তার বলেছেন, এমন কোনো অভিযোগের বিষয়ে তিনি জানেন না।
বিডি প্রতিদিন/এমআই