২০ অক্টোবর, ২০২১ ২২:১৬

নোয়াখালীতে মন্দির ভাঙচুরের ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ আরও ৯ জন আটক

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

নোয়াখালীতে মন্দির ভাঙচুরের ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ আরও ৯ জন আটক

নোয়াখালী চৌমুহনী মন্দির ভাঙচুরের ঘটনায় ভিডিওফুটেজ দেখে ইউপি চেয়ারম্যানসহ আরও ৩ জনকে শনাক্ত করে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও ৬ জনকে আটক করেছে র‌্যাব-১১। এই নিয়ে চৌমুহনীর ঘটনায় ৮০ জনকে আটক করা হয়েছে।

বুধবার ভোররাতে বিভিন্ন স্থানে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে আটক করা হয় বেগমগঞ্জ উপজেলার কাদিরপুর ইউনিয়নের আবদুল মালেকের ছেলে মো. ইলিয়াস, একলাশপুর ইউনিয়নের আবুল বাশার ছেলে মিজানুর রহমান, গনিপুরের নুর নবী। এছাড়া পূজামন্ডপ হামলার ও ভাঙচুরের ঘটনায় একলাসপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়।

এ পর্যন্ত চৌমুহনী পূজা মন্ডপে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় ৪টি মামলায় ৮০ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এই নিয়ে চৌমুহনীসহ বিভিন্ন উপজেলায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় ২১ মামলায় জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ৯৯ জনকে আটক করা হয়েছে। ৪-৫ হাজার লোককে আসামি করা হয়েছে। 

সিপিসি র‌্যাব-১১ এর লক্ষীপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার খন্দকার মো. শামীম হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বুধবার দুপুর ১টায় এ তথ্য জানানো হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- নিজাম উদ্দিন (৩৫), মো. রাসেল (৩২), আবদুল মোতালেব (৪৭), শাহাদাত হোসেন (৩৪), গোলাম কিবরিয়া (৩২), আনোয়ারুল আজিম (৪০)। তাদের প্রত্যেকেই বেগমগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা।

সিপিসি র‌্যাব-১১ এর লক্ষীপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার খন্দকার মো. শামীম হোসেন আরো জানায়, বেগমগঞ্জ থানায় দায়েরকৃত ৪টি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হবে বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার শহিদুল ইসলাম জানান, ভিডিওফুটেজ দেখে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আসামিদের চিহ্নিত করে আটক করা হয়েছে। তবে আমরা আরো যাচাই-বাচাই করছি। এ বিষয়ে গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত থাকবে।

বিডি প্রতিদিন/এএম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর