নোয়াখালীর চৌমুহনীতে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় পুলিশ সুপার শহীদুল ইসলাম নিজ কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তথ্য জানান। এ নিয়ে নোয়াখালীতে মোট ২৬ টি মামলায় ২০১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তারকৃত জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি কমলের আদালতে সোমবার রাতে স্বীকারোক্তিতে বিএনপির সহ-সভাপতি বরকত উল্লা বুলুসহ ১৫ নেতার সম্পৃক্ততার তথ্য দিয়েছেন।
এদিকে, অন্যতম উস্কানিদাতা হিসেবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি ফয়সাল ইনাম কমল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দিতে এ ঘটনায় বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি বরকত উল্লা বুলুসহ বিএনপি-জামায়াতের ১৫ নেতার সম্পৃক্ততার বিষয়ে তিনি তথ্য দিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো: শহীদুল ইসলাম জানান, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কমলকে সোমবার রাতে জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সাঈদীন নাঁহী’র আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় বিচারক ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আসামির জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
জবানবন্দিতে ফয়সাল ইনাম কমল চৌমুহনীতে সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনার উস্কানিদাতা হিসেবে বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ সভাপতি বরকত উল্লা বুলুসহ বিএনপি-জামায়াতের ১৫ নেতার সম্পৃক্ততার বিষয়ে তথ্য দিয়েছেন।
এর আগে গত ১৫ অক্টোবর চৌমুহনীতে সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনায় ফয়সাল ইনাম কমলসহ বিএনপি-জামায়াতের ১১ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার উদ্দেশ্যে কুমিল্লায় কোরআন অবমাননার ভিডিও ফেসবুকে আপলোড করাসহ বিভিন্ন উস্কানিমূলক পোস্ট দিয়ে চৌমুহনীতে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা, ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় কমলের বিরুদ্ধে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করে পুলিশ। তাকে এ ঘটনার অন্যতম উসকানিদাতা ও ইন্ধনদাতা হিসেবে চিহ্নিত করে পুলিশ। গ্রেপ্তার ফয়সাল ইনাম কমল (৩৯) বেগমগঞ্জ উপজেলার রাজুল্লাহপুর গ্রামের আবু হানিফের ছেলে।
এছাড়া ১০ জনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে এর মধ্যে ৩ জনের আজ রিমান্ড শুনানি হবে বলে পুলিশ সুপার জানান।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা