শরীয়তপুর সদর উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মেম্বার প্রার্থীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। ৮ নং ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লিটন মুন্সি তার নিজ বাড়িতে সভায় সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেছেন। তাদের সমর্থকরা প্রতিপক্ষের ত্রাসের কারণে হাটবাজারে যেতে পারছে না। প্রচার প্রচারনায় বাধা সৃষ্টি করছে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী বকাউল মুন্সীর সমর্থকরা। নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে প্রশাসনের নিকট আহবান জানিয়েছেন তিনি।
কর্মী সভা শেষে সংবাদিকদের তিনি বলেন, সম্প্রতি বিনোদপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হামিদ সাকিদার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে। ২৯ অক্টোবর বিকেলে তিনি বিনোদপুর বাজারে আসলে তার সমর্থকরা নৌকার একটি মিছিল বের করেন। ওই মিছিলে হামলা চালায় প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী বকাউল মুন্সীর সমর্থক স্থানীয় সন্ত্রাসীরা। তবে এতে কোন হাতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে আমার একজন সমর্থককে বাজারে গেলে মারপিট করেঝে। ওই ঘটনায় বিনোদপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের ৪ জন মেম্বার প্রার্থীসহ ৪৪ জনের নাম উল্লেখ করে পালং মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন ৮ নং ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী বাকাউল মুন্সী। ওই মামলায় আনোয়র হোসেন (৪৫) নামের এক ব্যক্তিকে আহত দেখানো হলেও তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছে। এলাকায় তিনি ঘোরা ফেরা করছে সেই ফুটেজও থানায় দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
বাকাউল মুন্সী গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও তার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হয়েছেন বলে দাবী করেন লিটন মুন্সী। তিনি আরো বলেন, আমার জনসমর্থনে ভীত হয়ে পুলিশি হয়রানির উদ্দেশ্যে আমিসহ আরও ৪ মেম্বার প্রার্থীকে আসামি করে মামলা দিয়েছে বকাউল মুন্সি। ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে এ মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে আমাদের বিরুদ্ধে। দেশে নেই এমন ব্যক্তিকেও এ মামলায় আসামি করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএ