ঢাকার ধামরাইয়ে ১৫ ইউনিয়নের নির্বাচনের পর রাতেই সহিংসতায় দু’টি ইউনিয়নে প্রতিপক্ষের হামলায় ২ জন নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২৩ জন। এছাড়াও আরও ৩টি ইউনিয়নে সংঘর্ষে আহত হয়েছে আরও ৩৫ জন। এ নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশ নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে শুক্রবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, ধামরাইয়ে বৃহস্পতিবার ১৫টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের পরপরই শুরু হয় হামলা সংঘর্ষ ও মারামারি। এতে কুল্লা ইউনিয়নে হামলায় রাতুল নামে এক যুবক মারা যায়। এসময় আহত হন প্রায় ৮ জন। এরপর রাতেই সুয়াপুর ইউনিয়নে প্রতিপক্ষের হামলায় নাছির উদ্দিন মোল্লা নামে এক ব্যাক্তি মারা যান।
এসময় কয়েকটি বাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে। এতে আহত হন ১০ জন। আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ধামরাইয়ের চৌহাট ইউনিয়নের চরচৌহাট এলাকায় রাতেই নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী পারভীন হাসমান প্রীতির মধ্যে ব্যাপক মারামারি হয়। এতে আহত হয় কমপক্ষে ১৯ জন। এছাড়াও রোয়াইল ও সানোড়ায় মারামারি হয়েছে হয়েছে এতেও আহত হয়েছে কয়েকজন। এনিয়ে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা চলছে।
ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আতিকুর রহমান এ খরব নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, আমরা দু’জন নিহতের খবর পেয়েছি। ঘটনার তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক