রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলে শীত পড়তে শুরু করেছে। পর্যপ্ত শীত বস্ত্র পাওয়া না গেলে চরাঞ্চল ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়বে। তবে শীত মোকাবেলায় প্রতিটি জেলায় গড়ে ৫১ থেকে ৫২ হাজার শীত বস্ত্র বরাদ্দ এসেছে। ওই সব বস্ত্র ইউনিয়ন ও পৌরসভাগুলোতে পাঠানো হয়েছে। প্রতি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় শীত বস্ত্র ভাগে পড়েছে মাত্র ৪৭০ পিস। যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম।
আবাহাওয়া কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহ থেকে এই অঞ্চলের তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। বুধবার এই অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেতুলিয়ায় ১৩ দশমিক ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস। রংপুরসহ আশপাশ এলাকার তাপমাত্রা ছিল ১৫ থেকে ১৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯০ থেকে ১০০ শতাংশ। ফলে ভোরবেলা অনেকস্থান কুয়াশায় ঢাকা ছিল।
জেলা ত্রাণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, প্রতিটি জেলায় শীত বস্ত্রের বরাদ্দ এসেছে ৫১ থেকে ৫২ হাজার পিস। প্রতিটি জেলায় গড়ে চাহিদা এক লাখ পিস শীত বস্ত্র। এসব শীত বস্ত্র ইতোমধ্যে ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভাগুলোতে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে শীতবস্ত্র বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, প্রতিটি জেলায় হতদরিদ্র শীতার্ত মানুষের সংখ্যা গড়ে ২ লাখের ওপর। উত্তরের ১৬ জেলা কমপক্ষে ৩০ লাখের বেশি হতদরিদ্র মানুষ রয়েছে। অথচ বরাদ্দ এসেছে ৮ থেকে ৯ লাখ । শীতার্ত মানুষের পাশে এখন পর্যন্ত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো সেভাবে এগিয়ে আসেনি। সচেতন মহলের দাবি শীতার্ত মানুষের পাশে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলো এখনই এগিয়ে না এলে শৈত্য প্রবাহের সময় চরম দুর্ভোগে পড়বে শীতার্ত মানুষ।
রংপুর কার্যালয়ের আবহাওয়াবি মোস্তাফিজার রহমান জানান, গত কয়েকদিন থেকে তাপমাত্রা কমছে। এখন থেকে প্রতিদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ওঠানামা করবে। ডিসেম্বর- জানুয়ারিতে একাধিক শৈত্য প্রবাহের শঙ্কা রয়েছে।
রংপুর ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আকতারুজ্জামান জানান, সরকারিভাবে ৫২ হাজার কম্বল ও শীতবস্ত্র কেনার জন্য ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ এসেছে। শীতবস্ত্র ইউনিয়ন পরিষদ পৌরসভাগুলোতে পাঠানো হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন / অন্তরা কবির