গাড়ির হর্ণ, বিভিন্ন উৎসব অনুষ্ঠানে উচ্চ শব্দে সাউন্ড বাজানোসহ নানা উপায়ে প্রতিনিয়ত শব্দ দূষণ হচ্ছে। শব্দ দূষণের ফলে অনেক শিশুরা শ্রবণ প্রতিবন্ধী হয়ে পড়ছে। এছাড়া শব্দ দূষণের ফলে মানুষ খিটখিটে মেজাজের হয়ে যাচ্ছে। এতে অল্পতেই মানুষ রাগান্বিত হয়। শব্দের কারণে অনেকের রাতে ঘুমাতে পারেন না। এ কারণেই শব্দ দূষণকে নিরব ঘাতক বলা যায়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে টাঙ্গাইল জেলা পুশাসনের সম্মেলন কক্ষে দূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্ব প্রকল্পের আওতায় সচেতনামূলক প্রশিক্ষণ ও মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মুহাম্মদ মুজাহেদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্বাবিদ্যালয়ের এনভায়রনমেন্ট সায়েন্স অ্যান্ড রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক এএসএম সাইফুল্লাহ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আমিনুল ইসলাম, ডেপুটি সিভিল সার্জন শামীম হোসাইন চৌধুরী, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, উন্নত রাষ্ট্রে হর্ণের পরিবর্তে রাস্তায় আলোক সিগনাল ব্যবহার করা হয়। উচ্চ শব্দে সাউন্ড বাজানো ও অতিরিক্ত গাড়ি হর্ণ বাজানোর ফলে শব্দ দূষণ হচ্ছে। শব্দ দূষণের ফলে শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই অযথা গাড়ি হর্ণ বা উচ্চ স্বরে হর্ণ বাজানো থেকে বিরত থাকতে হবে। এছাড়াও উচ্চ স্বরে সাউন্ড সিস্টেম না বাজানোর আহ্বান করেন বক্তারা।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন