টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তির অস্ত্র মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ রবিবার শুরু হয়েছে। টাঙ্গাইলের দ্বিতীয় অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতে বাদীসহ তিনজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।
আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌশুলী খোরশেদ আলম জানান, মামলার বাদী টাঙ্গাইল গোয়েন্দা পুলিশের তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাশিদুল ইসলাম এবং জব্দ তালিকার সাক্ষী রফিকুল ইসলাম ও বাসুদেব রাজবংশীর সাক্ষ্য আদালত গ্রহণ করেন।
সহিদুর রহমান খান মুক্তি টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য আতাউর রহমান খানের ছেলে এবং এই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানার ভাই।
সাক্ষ্যগ্রহণকালে টাঙ্গাইল কারাগার থেকে মুক্তিকে আদালতে হাজির করা হয়। জামিনে থাকা মামলার অপর দুই আসামি- কাদের জোয়ারদার ও নাসির উদ্দিন নুরুও আদালতে হাজির ছিলেন।
বাদী রাশিদুল ইসলাম জানান, ২০১৫ সালের ৩০ জুলাই টাঙ্গাইল সদর উপজেলার পোরাবাড়ি গ্রামের কাদের জোয়ারদারকে আটক করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তার বাড়ি থেকে দুইটি পিস্তল, তিনটি ম্যাগজিন ও তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে কাদের জোয়ারদার জানিয়েছিলেন, এই অস্ত্রগুলো তৎকালীন পৌর মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তির। তিনি নাসির উদ্দিন নুরুর মাধ্যমে এই অস্ত্রগুলো তার (কাদের জোয়ারদার) কাছে রাখতে দিয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় জড়িত থাকার বিষয়টি বের হওয়ার পর ২০১৪ সালের নভেম্বরে টাঙ্গাইল পৌরসভার তৎকালীন মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি আত্মগোপনে যান। আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় এই অস্ত্র উদ্ধার হয়। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর গত ডিসেম্বরে সহিদুর ফারুক হত্যা মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরবর্তীতে তিনি অস্ত্র মামলায় আদালত থেকে জামিন পান। তবে ফারুক হত্যা মামলায় জামিন না হওয়ায় বর্তমানে তিনি টাঙ্গাইল কারাগারে আছেন।
বিডি প্রতিদিন/এএম