তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের আর দু'দিন বাকি। শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। চেয়ারম্যানদের পাশাপাশি সাধারণ ও সংরক্ষিত সদস্যদের প্রচার-প্রচারণা ও মাইকিংয়ের শব্দে গ্রামীন জনপদ মুখরিত হয়ে ওঠেছে। তৃতীয় ধাপে জেলার বেলকুচি ৬টি ও উল্লাপাড়ার ১৩টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ না করলেও আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে। একে অপরকে ঘায়েল করতে নানা কৌশল করছে। কোথাও কোথাওয় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হচ্ছে। বেলকুচির উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীর মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। হামলা-মামলা ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে সাধারণ ভোটারদের।
রাজাপুর ইউনিয়নের নৌকা প্রার্থী সনিয়া সবুর অভিযোগ করেন, বিদ্রোহী প্রার্থী আতাউর রহমান ও তার ভাতিজা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিন হাসান রকির নেতৃত্বে ৩০-৪০জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনী তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গাড়িতে ককটেল নিক্ষেপ করেছে। তার নেতৃত্বে নৌকার কর্মী আব্দুল মজিদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে বসতভিটায় ভাঙচুরসহ নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ অন্তত ২০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি করেছে। পরিবারের নারী সদস্য রেহানা খাতুন ও রিফাতকে মারপিট করেছে। তাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে সুষ্ঠু ভোট নিয়ে সকলেই শঙ্কা প্রকাশ করেছে। তবে পুলিশ ইতোমধ্যে নির্বাচনী আচরন বিধি ভঙ্গ ও বিস্ফোরণের অভিযোগে বিদ্রোহী প্রার্থীর ভাই আল মাহমুদ ও ভাতিজা জুয়েলকে আটক করেছে।
অভিযোগের বিষয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করেও বিদ্রোহী প্রার্থী আতাউর রহমানকে পাওয়া যায়নি।
বড়ধুল ইউনিয়নের নৌকা প্রার্থীর বিরুদ্ধে হুমকিসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে স্বতন চেয়ারম্যান প্রার্থী ফরিদ আহম্মেদ সংবাদ সম্মেলনে করেছেন।
অন্যদিকে উল্লাপাড়ায় বিদ্রোহী প্রার্থীর এক কর্মীকে পুলিশ আটক করেছে। এছাড়াও প্রত্যেকটি ইউনিয়নে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ তুলছেন প্রার্থীরা। সংবাদ সম্মেলন ও নির্বাচন অফিসে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দায়ের করছেন। এ অবস্থায় সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে সাধারণ ভোটাররা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তবে জেলা পুলিশ সুপার হাসিবুল আলম জানিয়েছেন ভোট সুষ্ঠু করতে সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করে পুলিশ মাঠে সক্রিয় রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল