১ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৭:৩৯

মহাদেবপুরে আদিবাসী সমাবেশ ও সংস্কৃতি মেলা

বাবুল আখতার রানা, নওগাঁ:

মহাদেবপুরে আদিবাসী সমাবেশ ও সংস্কৃতি মেলা

উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের সমতলের আদিবাসীদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সম্পর্কে সমাজের মূল ধারার মানুষকে সংবেদনশীল করার লক্ষ্যে নওগাঁর মহাদেবপুরে আদিবাসী সমাবেশ ও সংস্কৃতি মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার মহাদেবপুর উপজেলার ধনজইল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। 

দিনব্যাপী এই আদিবাসী সমাবেশ ও সংস্কৃতি মেলায় সমতলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী মানুষের বৈচিত্রময় জাতিসত্তার জীবন-জীবিকা ও সংস্কৃতি তুলে ধরা হয়। দাতা সংস্থা হেক্স-ইপারের সহাতায় পল্লী সহযোগী বিষয়ক সংস্থা (আরকো) তাদের ইটুজিআই প্রকল্পের আওতায় এই সমাবেশের আয়োজন করে। 

সকালে আদিবাসী সমাবেশ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপন্যাসিক ও সাহিত্যিক হরিশংকর জলদাস। আরকোর সভাপতি শাহিন মনোয়ারা হকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নওগাঁ-৩ (মহাদেবপুর ও বদলগাছী) আসনের সংসদ সদস্য ছলিম উদ্দিন তরফদার। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন হেক্স-ইপারের কান্ট্রি ডিরেক্টর ডোরা চৌধুরী, আরকোর নির্বাহী পরিচালক সজল কুমার চৌধুরী, মহাদেবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, জাতীয় আদিবাসী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সবিন চন্দ্র মুন্ডা প্রমুখ।

হরিশংকর জলদাস বলেন, বঙ্গ নামের এই ভূমির আদি বাসিন্দারা আজকে ভালো নেই। তারাই আজকে সকল ক্ষেত্রে প্রাবতিক হয়ে পড়েছেন। সমাজের মূল স্রোতধারার সাথে তাল মেলাতে না পেরে তারা দিনদিন আরও প্রান্তিক হয়ে যাচ্ছে। আদিবাসী জনগোষ্ঠীর মুক্তির প্রধাতম পথ হচ্ছে শিক্ষিত হওয়া।  তারা নিজেরা শিক্ষিত না হলে যতই সরকার ও উন্নয়ন সংস্থাগুলো কাজ করুক না কেন কোনো লাভ হবে না। 

মেলায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ তাদের কৃষ্টি-সংস্কৃতি তুলে ধরতে ৯টি স্টলে তাদের সম্প্রদায়ের কৃষি কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি, জীব-জন্তু শিকারের হাতিয়ার, গয়না, কাপড়, তৈজষপত্র, খাবার, কলা, স্থাপত্য ও ভৌত-অভৌত পরিকাঠামো, অবকাঠামো, কারুকার্য ও অন্যান্য ঐতিহ্য সম্বলিত জিনিসপত্রে প্রর্দশন করেন। এ ছাড়াও তাদের কর্ম এলাকায় বসবাসকারী জনগোষ্ঠীদের উৎপাদিত উপকরণ ১টি ষ্টলে প্রদর্শন করা হয়। বিকেলে সাংস্কৃতিক পর্বে বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন আদিবাসী জনগোষ্ঠীর মধ্যে সংখ্যাধিক্য বিবেচনায় সাঁওতাল, উড়াও, পাহান, মুন্ডাসহ ১০টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী জাতিসত্তার সাংস্কৃতিক দল ও দুটি বাঙালি সাংস্কৃতিক দল তাদের নিজ নিজ সাংস্কৃতি তুলে নাচ ও গান পরিবেশন করেন।

বিডি প্রতিদিন/এএম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর