৮ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৯:৫৫

বগুড়ায় সরকারি মুদ্রণ কাজে বাধা দেওয়ায় থানায় অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

বগুড়ায় সরকারি মুদ্রণ কাজে বাধা দেওয়ায় থানায় অভিযোগ

জাতীয় পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের অধীনে ২০২২ সালের শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে ২২ লাখ ৭৯ হাজার ৮৬৯ বই মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহ কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে বগুড়ার শাজাহানপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

শাজাহানপুরের শাকপালায় জাতীয় পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের অধীনে ২০২২ সালের শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে বই মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহ কাজে বাধা, চাঁদা দাবি ও প্রেসে পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়ে হত্যার হুমকি দেয় বলে সরিফা প্রেস অ্যান্ড পাবলিকেশন্স ও এস.আর প্রিন্টিং প্রেসের ম্যানেজার রফিকুল ইসলাম (৫০) মঙ্গলবার লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয় শাজাহানপুর থানায়।  

অভিযোগে বলা হয়, প্রতিষ্ঠানের স্বত্ত্বাধিকারী আনোয়ার হোসেন রানা’র নামীয় ৮৩ (তিরাশি) শতাংশ জমির ওপর নির্মিত স্থাপনায় ও মালিকানাধীন দৈনিক মুক্তজমিন পত্রিকার ছাপা খানা, সরিফা প্রেস অ্যান্ড পাবলিকেশন্স, এস.আর প্রিন্টিং প্রেস ও মেসার্স সরিফা এন্টারপ্রাইজ নামে একাধিক ব্যবসা রয়েছে। সরিফা প্রেস অ্যান্ড পাবলিকেশন্স সরকারের জাতীয় পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের অধীনে ২০২২ সালের শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে ২২ লাখ ৭৯ হাজার ৮’শ ৬৯ বই মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহের জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ পায়। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত ১ জানুয়ারি বই উৎসবের আগেই ২২ লাখ ৭৯ হাজার ৮৬৯ বই উত্তরাঞ্চলের ৫ জেলায় প্রেরণ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সে অনুযায়ী গত ইংরেজি ১০ নভেম্বর থেকে প্রেসের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকরা কাজ করছে। 

হঠাৎ করে সোমবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে পূর্ব শক্রতার জের ধরে মৃত সেখ সরিফ উদ্দিনের স্ত্রী দেলওয়ারা বেগম, তার জামাই ফেরদৌস আলম ফটু (৫২), আবুল হোসেন খোকন (৫৩) প্ররোচনায় ও মোফাজ্জল হোসেন রঞ্জু ওরফে ধলা মিয়া (৫০) এর হুকুমে সুলতান আহমেদ (৩২), সিফাত আহমেদসহ (২৭) অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন প্রেসের মুদ্রণকৃত বই ও ছাপানোর কাগজ গোডাউন থেকে বের করার সময় প্রেসের কর্মচারীদের বাধা প্রদান করে। 

বিষয়টি অবগত হয়ে কৈগাড়ী পুলিশ ফাঁড়ির রাত্রীকালীন টহল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের ডেকে সরকারি মুদ্রণকাজে বাধা না দেওয়ার জন্য সতর্ক করে যান। এরপর প্রেসের মুদ্রণকাজ চলাকালে রাত আড়াইটার দিকে আবারো সুলতান আহমেদ ও সিফাত আহমেদসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৫/৬ জন যুবক প্রেসের দক্ষিণ পাশে অন্ধকারে দাঁড়িয়ে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলে যে, কাজ করতে হলে আমাদের দশ লাখ টাকা চাঁদা প্রদান করতে হবে। তা না হলে কাজ বন্ধ রাখতে হবে। 

অন্যথায় পেট্রোল ঢেলে প্রেসে আগুন লাগিয়ে মুদ্রণকৃত বই, ছাপানোর কাগজ, মেশিন প্রয়োজনে কর্মচারীদের পুড়িয়ে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের নিকট পৃথক পৃথক অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।

শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর