নেত্রকোনায় প্রতারক চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠিয়েছে পুলিশ। প্রতারণা করে কিস্তিতে ট্রাক কিনে যন্ত্রাংশ খুলে ভিন্ন ভিন্ন স্থানে বিক্রি করে দিয়ে গা ঢাকা দেয় তারা। ট্রাক দুটির খোলা বিক্রি হওয়া যন্ত্রাংশের প্রায় ৪০ লক্ষ টাকার যন্ত্র উদ্ধার করেছে নেত্রকোনা মডেল থানার পুলিশ।
আসামিরা হল- জেলা শহরের নিউটাউন এলাকার মৃত এন এম আব্দুল্লাহ আজাহারের ছেলে মেহেদী হাসান মন্টি (৩২) ও গরুহাট্টা রোডের সুরুজ আলীর ছেলে মো. সাজ্জাদ (৩৫)। পুলিশ গত ১০ ডিসেম্বর তাদের দুইজনকে আটক করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী শেষে পরদিন আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠায়। এছাড়াও প্রতারক চক্রের অন্যতম আরেক আসামি নিউটাউন এলাকার লাল মোহাম্মদ খানের ছেলে সিদ্দিকুর রহমান ওরফে বাবু (৩২) ও অজ্ঞাতনামা মামলার দুই আসামী ধরার চেষ্টা চালিয়েছে পুলিশ।
নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি খন্দকার শাকের আহমেদ জানান, শহরের নিউটাউন এলাকার মন্টি ও বাবু দুজন সাজ্জাদ নামের এক হোন্ডা চালকের ভুয়া পরিচয়পত্র তৈরী করে মালিক সাজিয়ে ঢাউন পেমেন্ট নগদ চার লক্ষ টাকা দিয়ে কিস্তিতে দুটি ট্রাক কিনে আনে। ট্রাক দুটির মূল্য ৫৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা। পরে এগুলো বিভিন্ন ভাঙ্গারির দোকানে খুলে খুলে তারা বিক্রি করে দেয়। এরপর থেকে তারা গা ঢাকা দিলে ইফাদ অটোজ মালিকদের বিষয়টি সন্দেহ হয়। পরবর্তীতে গত ৫ ডিসেম্বর নেত্রকোনা মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে।
পুলিশ তদন্ত করে মামলাটি আমলে নিলে শামীম তালুকদার নামে ইফাদের ম্যানেজার বাদী হয়ে শহরের গরুহাট্টা এলাকার হোন্ডা চালক মো. সাজ্জাদ, নিউটাউন এলাকার সিদ্দিকুর রহমান ওরফে বাবু, মেহেদী হাসান মন্টিসহ অজ্ঞাত আরো একজনসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে চক্রের মূলহোতা মন্টি ও সাজ্জাদকে আটক করে তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী নিয়ে সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে খুচরা ভাবে বিক্রি করে দেয়া যন্ত্রাংশ উদ্ধার করে।
এদিকে অভিযান চলাকালে ব্যবসায়ীরা কিছু যন্ত্রাংশ পুকুরে ফেলে দিলে সেগুলোও উদ্ধার করা হয়। পরে তাদেরকে আদালতেরে মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের ধরার চেষ্টা চলছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম