বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, দেশ স্বাধীনে খালেদা জিয়ার অবদান অস্বীকার করলে হবে না। যুদ্ধকালীন জনগণকে সংগঠিত করেছেন তিনি। তাই তাকে মুক্তিযোদ্ধা বললে ভুল হবে না। এই মুক্তিযোদ্ধার মুক্তি ভিক্ষা নয়, এটি অধিকার। তাই এই অধিকার আন্দোলনের মাধ্যমে ছিনিয়ে আনা হবে।
মঙ্গলবার বিকেলে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও চিকিৎসার দাবিতে লালমনিরহাট জেলা বিএনপি আয়োজিত এক সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। শহরের আলোরুপা মোড়ের দলীয় কার্যালয় সংলগ্ন প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
টুকু বলেন, ৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনী বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দী করে রেখেছিলেন। তিনি বিদেশে না গিয়ে দেশে থেকে মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত করার চেষ্টা করেছিলেন। তাই খালেদা জিয়াও মুক্তিযোদ্ধা।
এসময় বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা রাজপথ দখল করে নেন। রাজপথ থেকেই সরকারের পতন ঘটিয়ে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করাতে হবে।
বিএনপির রংপুর বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরী, রংপুর বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি এসএম জাহাঙ্গীর আলম, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াছিন আলী, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলসহ রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
এদিন সকাল থেকে সমাবেশে অংশ নিতে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে কর্মীরা মিছিলে নানা শ্লোগান দিয়ে আসতে থাকে।এসময় শহরর বিভিন্ন মোড়ে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। সকাল থেকেই শহরের প্রধান মোড়গুলোতে শক্ত অবস্থানে ছিল পুলিশ। পরে মিছিলে শ্লোগান না দিয়ে সমাবেশে যোগ দেয় তারা।
বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, সমাবেশে বাধা দিতে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশকে দিয়ে সড়কে যানবাহন রেখে ব্যারিকেড দেওয়া হয়, যাতে বেশি সংখ্যক নেতাকর্মী সমাবেশে অংশ নিতে না পারেন। কিন্তু নেতাকর্মীরা পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে সমাবেশে যোগ দেন।
বিডি প্রতিদিন/এমআই