দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে পঞ্চম ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দুটি ইউনিয়নের দুটি কেন্দ্রে ভাঙচুর, হামলার ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ২ রাউন্ড গ্যাস সেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ও ৬ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছোড়া হয়েছে। এসময় উত্তেজিত জনতার বিক্ষিপ্তভাবে ছোড়া ইটের টুকরোর আঘাতে ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় বিজিবি, র্যাব, পুলিশসহ সাধারণ জনতা আহত হয়েছেন ২০জন।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিজিবি’র পক্ষ থেকে চিরিরবন্দর থানায় কেন্দ্র ভাংচুর, হামলা, গাড়ী ভাঙচুর, ক্ষতিসাধন বিষয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ্য করে অজ্ঞাত ২শ জনের নামে মামলা হয়েছে। এ মামলায় ৮ জনকে আটক করা হয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেন চিরিরবন্দর থানার ওসি সুব্রত কুমার সরকার।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গত ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের দিনগত রাত ৭টার দিকে চিরিরবন্দর উপজেলার আলোকডিহি ইউপির গছাহার গ্রামের শাহ্পাড়ায় গছাহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (জরিনা স্কুল) কেন্দ্রে ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে প্রিজাইডিং অফিসারের উপর স্থানীয় জনতা চড়াও হলে পুলিশ বাধা দেয়। এসময় জনতা উত্তেজিত হয়ে উঠলে পুলিশ ২ রাউন্ড গ্যাস সেল ও সাউন্ড গ্রেণেড ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
অপরদিকে, ফতেজংপুর ইউপির উত্তর পলাশবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় জনতা কেন্দ্রে ভাংচুরের চেষ্টা চালালে বিজিবি, র্যাব ও পুলিশ বাঁধা দেয়। এসময় উত্তেজিত জনতা আইনশৃংখলা বাহিনীর উপর চড়াও হয়ে গাড়ি ভাংচুর, ও নির্বাচনী কাজে ব্যবহৃত ট্রাক্টর ভাংচুর, কেন্দ্র ভাংচুর, ক্ষতিসাধন করলে আইনশৃংখলা বাহিনীর পক্ষ থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৬ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছোড়ে। এসময় ৪২ বিজিবির রিপন মিয়া, ইলিয়াস হোসেন, মমিনুর রহমান, সঞ্জয় চন্দ্র, মো. মনিরুজ্জামান, র্যাব ১৩ সিপিসি-১’র ফুলমিয়া, মোবারক হোসেন বেগ, জুয়েল রানা ও পুলিশের এস আই তাজুল ইসলাম, এস আই হাসান ফারুক, এ এস আই বেলাল, এ এস আই রফিকুল ইসলাম, কনষ্টেবল আবু তাহের, শফিউল ইসলাম, জহিরুল ইসলাম, তুষার রায়, ইসমত আরা আহত হন।
হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে, সাধারণ জনগণের মধ্যে আফজাল হোসেন (৩৫), বাদশা (৩৫) মুকুল রায় (৪২), মেরিনা বেগম (৫১) আহত হয়েছেন।
চিরিরবন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ সুব্রত কুমার সরকার জানান, নির্বাচনে বড় ধরণের কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। দুটি কেন্দ্রে কেন্দ্র ভাংচুর, হামলা, গাড়ি ভাংচুর, ক্ষতিসাধন করা হয়েছে আইনশৃংখলা বাহিনী আইনী পদক্ষেপ নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ২রাউন্ড গ্যাস সেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ও ৬ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছোড়া হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে একটি মামলা করা হয়েছে। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএ