২৮ জানুয়ারি, ২০২২ ১৩:১৬

বগুড়ার ২২ ইউনিয়নে ভোটের মাঠে ১২ শতাধিক প্রার্থী

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

বগুড়ার ২২ ইউনিয়নে ভোটের মাঠে ১২ শতাধিক প্রার্থী

প্রতীকী ছবি

আর দু’দিন পরেই ভোটগ্রহণ। শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে প্রচারণা। নানা ধরনের প্রতিশ্রুতি নিয়ে প্রার্থীরা যাচ্ছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। কনকনে শীত উপেক্ষা করে চলছে প্রচারণা। বগুড়ার ৪ উপজেলার ২২ ইউপির নির্বাচন আগামী ৩১ জানুয়ারি। ষষ্ঠ ধাপের এই নির্বাচনে সবগুলো ইউনিয়নে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ হবে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জমে উঠেছে শেষ মুহূর্তের প্রচার-প্রচারণা। ভোটাররাও নানা হিসেব করছেন, এলাকার সার্বিক উন্নয়ন সুখে দুঃখে পাশে- থাকবে এমন প্রার্থীকেই বেছে নিতে চায় তারা। সুষ্ঠু নিরপেক্ষ পরিবেশে শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণে প্রস্তুত নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা। 

বগুড়া জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, আগামী ৩১ জানুয়ারি সদর উপজেলার দুটি, গাবতলী উপজেলার ৩টি, সারিয়াকান্দির ১১টি ও সোনাতলা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ২২ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান ও সদস্যসহ ১৩২ জন প্রার্থী ভোটের মাঠে প্রতিন্দ্বীতায় রয়েছেন। আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও জামাত সমর্থিতরাও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এএসএম জাকির হোসেন জানান, দুই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ১০ জনসহ ৯২জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

গাবতলী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রুহুল আমিন জানান, গাবতলীর দুই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ১২ জনসহ ১৩১ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। উপজেলার সুখানপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আশরাফুল হক গোল্লা (৫৪) সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। চেয়ারম্যান পদে মনোনীত বৈধ প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে সুখানপুকুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।

বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার ৭ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৪০ জন, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৯৭ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ২৭২ জনসহ মোট ৪০৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৭ টি ইউনিয়নে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৯৭১ জন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। 

সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন জানান, সারিয়াকান্দি উপজেলার ১১ ইউনিয়নে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৬০২ জন প্রার্থী। এর মধ্যে চেয়ারম্যান ৭১জন, সংরক্ষিত সদস্য পদে ১৪০ ও সাধারণ সদস্য ৩৯১ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। 

এদিকে পুলিশের বিশেষ শাখা থেকে জানা যায়, ২৩টি ইউনিয়নে ২২৮টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ১৮১টি ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সারিয়াকান্দি উপজেলার প্রায় সবক’টি ইউনিয়নের সব কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ। আর গাবতলীর সোনারায় ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের জামিরবাড়িয়া খোদেজা হামিদ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র ও খুপি মধ্যেপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র অধিক ঝুঁকিপূর্ণ। 

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আলী হায়দার চৌধুরী বলেন, আগের ধাপের ভোটের চেয়ে এবার আরও বেশি সতর্ক থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

জেলার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মাহবুব আলম শাহ জানান, সবগুলো ইউনিয়নে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ হবে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সুষ্ঠু ও অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রশাসন বদ্ধপরিকর। সকলকে নির্বাচনী আচরনবিধি মেনে চলতে হবে।

বিডি প্রতিদিন/কালাম

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর