নেত্রকোনায় বিলের ইজারা নিয়ে মেশিন দিয়ে পানি সেচে নদীর মাছ ধরা বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার মাঘান সিয়াধার ইউনিয়নের ডিঙ্গাপোতা হাওরের মল্লিকপুর ও বেঠাখালি এলাকায় গত এক সপ্তাহ ধরে বিল ইজারাদাররা প্রভাব খাটিয়ে সাপমরা খালের পানি সেচে ফিশিং করছিল এমন খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তা বন্ধ করে দেন। এতে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন হাওরের স্থানীয় কৃষকেরা।
আজ শনিবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক কাজী মো. আব্দুর রহমান। তিনি জানান, কৃষকদের যাতে কোনভাবেই সেচ অসুবিধা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে মোহনগঞ্জ ইউএনওকে নির্দেশ দেয়া আছে। আর মেশিন দিয়ে পানি সরিয়ে ফেলা সম্পূর্ন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলেও নিশ্চিত করেছেন তিনি।
জানা গেছে, ইরি বোরো মৌসুমে নেত্রকোনার হাওরাঞ্চলের কৃষকদের একমাত্র বোরো ফসল রক্ষায় সরকার হাওরের মাঝ দিয়ে বয়ে চলা নদী ও খাল খনন কাজ করছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে ৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যায়ে ৮ দশমিক এক কিলোমিটার সাপমরা খাল খনন কাজ ইতিমধ্যে চলমান বলে জানান পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী এম এল সৈকত।
ওই এলাকার কৃষকরা জানান, আদর্শনগর থেকে বরান্তর পর্যন্ত খনন কাজ করছে সরকার যাতে হাওরাঞ্চলের একমাত্র বোরো ফসল রক্ষায় সেচ কার্য চলে। কিন্তু প্রভাবশালী বৈঠাখালি বিল ইজারাদার অজিত দাস গংরা নদীর মাছ ধরতে জাল দিয়ে নদীতে বাঁধ আটকে মেশিন বসিয়ে নদীর পানি সেচে নিচ্ছিল। এতে করে খরায় পড়ত হাজার হাজার একর ফসলি জমি। পৌষ-মাঘ মাসে চারা রোপন শেষ হয়েছে। মাত্র ফাল্গুন শুরু হয়েছে। চৈত্র মাস পর্যন্ত জমিতে প্রতিদিন সেচ দিতে হবে সকাল-বিকাল। এর মধ্যে সব পানি ফাল্গুনের শুরুতেই শুকিয়ে ফেললে কৃষকরা মাঠে মারা যাবে। তবে অবৈধ ফিশিং বন্ধ করে দিলেও এখন কৃষকদের সেচ দিতে বাধা দিচ্ছে ওই প্রভাবশালী ইজারাদার। জমিতে সেচ দিতে গেলে দুর্বল কৃষকদের ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। তাদেরকে মারার হুমকিও দিচ্ছে বলে জানান তারা।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ