মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার চাঁন্দামারী গ্রামের একটি কবর থেকে আসাদুজ্জামান (৪০) নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদাত হোসেনের উপস্থিতিতে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে।
সোমবার দুপরে চাঁন্দামারী গ্রামের একটি কবরস্থান থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে নেয়। স্থানীয়রা জানান, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার হাফানিয়া গ্রামের আব্দুল জলিল মাস্টারের ছেলে আসাদুজ্জামানের বিয়ে হয় পাশ্ববর্তী গ্রামের মোনালিসা ওরফে রুপার সাথে। বিয়ের পর তাদের সংসারে আসে ৩ সন্তান। রুপা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। আসাদুজ্জামান একটি ঔষধ কোম্পানির চাকরির সুবাদে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে চুয়াডাঙ্গায় বসবাস করতেন।
২০২০ সালের ২৭ মার্চ আসাদুজ্জামান হঠাৎ মারা যান। ওই সময় স্ত্রী রুপা জানিয়েছিলেন তার স্বামী স্ট্রোকে মারা গেছেন। পরে তার মরদেহ চুয়াডাঙ্গার ভাড়াবাড়ি থেকে নিজ গ্রাম হাফানিয়ায় নেয়া হয়। হাফানিয়া গ্রামের কাছাকাছি মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ধানখোলা ইউনিয়নের চাঁন্দামারী গ্রামের কবরস্থানে আসাদুজ্জামানকে দাফন করা হয়।
দাফনের পর আসাদুজ্জামানের পরিবারের সদস্যদের তার মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ হয়। ২০২১ সালের ৩ ডিসেম্বর নিহতর ভাই লিটন আলী বাদি হয়ে চুয়াডাঙ্গা আদালতে মোনালিসা ওরফে রুপা ও তার প্রেমিক নরসিংদী জেলার হুমায়ুন কবীরকে আসামি করে মামলা করেন। মামলার পরে পুলিশ হুমায়ুনকে আটক করে।
আটকের পর আসামি রুপার প্রেমিক হুমায়ুন আদালতে জানান, আসাদুজ্জামানকে খাবারের সাথে বিষ মিশিয়ে হত্যা করা। তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে আজ সোমবার কবর থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা