নড়াইলের কালিয়া পৌরসভায় যেন মোটরসাইকেল চুরির হিড়িক পড়েছে। দিনদুপুরে হরহামেশাই চুরি হয়ে যাচ্ছে মোটরসাইকেল। চাকরিজীবী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষরাও বাদ যাচ্ছে না মোটরসাইকেল চুরি থেকে।
এদিকে, কালিয়া পৌর এলাকায় সিসি টিভি থাকার পরও মোটরসাইকেল চুরি হওয়ায় উদ্বেগ বেড়েছে। মোটরসাইকেল চুরির পর সংশ্লিষ্ট থানায় ভুক্তভোগীরা জিডি বা মামলা করেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছে না। এখন পর্যন্ত চুরি যাওয়া কোনো মোটরসাইকেল উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
তবে পুলিশ বলছে, সাধারণ মানুষের মধ্যে থেকেই মোটরসাইকেল চোর সিন্ডিকেট এই কাজগুলো করছে। যে কারণে সহজেই মোটরসাইকেল চোরদের ধরা সম্ভব হচ্ছে না।
সূত্রে জানা যায়, বুধবার বেলা ১১টা ৫৫ মিনিট থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে সিসি ক্যামেরাবেষ্টিত ছোট কালিয়া ভাড়া বাসার সামনে থেকে একটি ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধির মোটরসাইকেল চুরি হয়। তাৎক্ষণিক তিনি কালিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এছাড়া গত বছর ১৬ ডিসেম্বর পৌর শহরের কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেরের সামনে থেকে মনির হোসেন নামে এক ব্যক্তির মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) দায়ের করলেও চুরি যাওয়া মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
মোটরসাইকেল চুরির বিষয়ে থানায় একাধিক জিডি ও মামলা করা হলেও একটিও উদ্ধার বা কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ।
ভুক্তভোগী মো. সোহেল বলেন, ‘সিসি টিভি ক্যামেরার আওতার মধ্যেই একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট মোটরসাইকেল চুরি করছে। দিনদুপুরে আমার মোটরসাইকেল চুরির পর থানায় অভিযোগ করেও মোটরসাইকেলের কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না।’
এ ব্যাপারে কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) রতনুুজ্জামান বলেন, ‘মোটরসাইকেল চুরির বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
বিডি প্রতিদিন/এমআই